কিশোরগঞ্জে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে জড়ানো তার, দুর্ঘটনার শঙ্কা

বৈদ্যুতিক খুঁটিতে জড়ানো তার। গত বুধবার কিশোরগঞ্জের গৌরাঙ্গ বাজারে
প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জ শহরের অলিগলিতে বিদ্যুতের খুঁটিতে জড়ানো তার আর তার। বছরের পর বছর ধরে জালের মতো জড়িয়ে রয়েছে এসব অরক্ষিত তার। ডিসের লাইন, ইন্টারনেট লাইনসহ বিভিন্ন লাইন গিয়ে মিলেছে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে। এসব তারের কারণে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডসহ ঘটছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের গৌরাঙ্গ বাজার, পুরান থানা, একরামপুর, নিউটাউন, বড়বাজার, জাহাঙ্গিরের মোড়, বত্রিশ, নগুয়া, হয়বতনগর, রথখলা, আখড়াবাজার, হারুয়া, গাইটাল, খড়মপট্টি, উকিলপাড়াসহ অনেক এলাকায় তারের জঞ্জাল।

ব্যবসায়ীরা বিদ্যুতের খুঁটি ব্যবহার করে দেদার চালাচ্ছেন তাঁদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম। কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন না নিয়ে ব্যবহার করছেন বিদ্যুতের খুঁটিগুলো। পিডিবির বৈদ্যুতিক খুঁটি দিয়ে এলোমেলো বৈদ্যুতিক তার চাদরের মতো জড়িয়ে রেখেছে শহরের প্রাণকেন্দ্রগুলোকে। বিদ্যুৎ বিভাগও এ বিষয়ে যেন অনেকটা উদাসীন। শহরের প্রায় সব কটি খুঁটিতে একই সঙ্গে রয়েছে কেব্‌ল নেটওয়ার্কের তারসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সংযোগ।

কলেজশিক্ষার্থী সাবরিনা আইরিন ও মো. রবিন বলেন, শহরের কিছু কিছু জায়গায় এমনও দেখা যায় যে বিদ্যুতে খুঁটির ওপর থেকে তার পেঁচিয়ে একেবারে নিচ পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছে। শিশুরাও সহজে তারে হাত দিতে পারে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

গৌরাঙ্গ বাজারের ব্যবসায়ী মুরাদ হাসান বলেন, প্রতিটি খুঁটি ঘিরে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সংযোগ লাইন থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা মাথায় নিয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা করার পাশাপাশি পথচারীরাও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। খুঁটির দিকে তাকালে কোনটি কোন লাইনের তার, তা–ও বোঝা মুশকিল।

কিশোরগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহা. সালাহউদ্দীন বলেন, তাঁদের সঙ্গে কোনো রকম পরামর্শ না করেই বিভিন্ন কোম্পানির লাইন, ডিসের লাইন, ইন্টারনেট লাইনসহ অসংখ্য লাইন বিদ্যুতের খুঁটিতে জালের মতো পেঁচিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব এলোমেলো তার নিয়ে তাঁরাও দুশ্চিন্তায় আছেন। এসব কোম্পানির তার কেটে দিলে তারা যদি আন্দোলনে নামে, সে কারণেও বিদ্যুৎ বিভাগ বিপাকে পড়েছে। তবে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে অচিরেই তাঁরা এর একটা সুরাহা করবেন।