পাবনার বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের যমুনাপাড়ের পেঁচাকোলা ও মালদাপাড়া গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ বারবার নদীভাঙনের শিকার হয়েছেন। তাঁদের অনেকেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। চাটাই অথবা পাটকাঠির ভাঙা বেড়ার ফাঁক দিয়ে ঘরে হিমেল হাওয়া ঢোকায় শীতে কষ্ট করছেন এসব মানুষ।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ওই দুটি গ্রামের অসহায় ও শীতার্ত ১০০ নারী-পুরুষকে কম্বল দেওয়া হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা যমুনাপাড়ের পেঁচাকোলা ঈদগাহ মাঠে এসব কম্বল বিতরণ করেন।
কম্বল পেয়ে পেঁচাকোলা গ্রামের অশীতিপর সোহরাব আলী বলেন, ‘এবার শীত খুব বেশি। পুরোনো লেপ-কাঁথা ছিঁড়্যা যাওয়ায় ওসব দিয়্যা শীত মানে না। এই বয়সে শীতে খুব কষ্ট হত্যাছিল। তুমাগরে কম্বলখান পায়া এখন এই কষ্ট দূর হবি।’
একই গ্রামের আরেক বৃদ্ধ নারী আঞ্জেলা খাতুন বলেন, ‘শীতের কষ্ট বড় কষ্ট। একখান কম্বলের জন্য কত জায়গায় ঘুরছি। অথচ তুমরা আমাগরে কাছে আইস্যা কম্বল দিয়্যা গেলা। কম্বলখান পায়া খুব আনন্দ হতেছে।’
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেড়া উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কাজী ইমরান সাঈদ, হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সেল্টু মিয়া, প্রথম আলোর বেড়া প্রতিনিধি বরুন রায়, বেড়া বন্ধুসভার সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি নাসির উদ্দিন, লিটন হোসেন, সদস্য মনির হোসেন, আলম হোসেন প্রমুখ।