কটিয়াদীতে ৮৮ শতাংশ কোভিড রোগী সুস্থ, আইসোলেশন ইউনিট ফাঁকা
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে দিন দিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কমছে। বিপরীতে বাড়ছে সুস্থতার মাত্রাও। বর্তমানে উপজেলায় কোভিড রোগীদের জন্য চালু করা আইসোলেশন ইউনিট ফাঁকা পড়ে আছে। সংক্রমিত লোকজনের মধ্যে ৮৮ শতাংশই সুস্থ হয়েছে। সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় আছেন ১১ জন। এই পরিসংখ্যানে স্বাস্থ্য বিভাগে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও তাঁদের মধ্যে ঈদ-পরবর্তী দুর্ভাবনা পেয়ে বসেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কটিয়াদী বাণিজ্য শহর। ভৈরব-ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ-মঠখোলা-ঢাকা আঞ্চলিক সড়ক দুটি কটিয়াদী শহরের বুক চিরে গেছে। নানা উদ্যোগের পরও উপজেলাটিতে অন্য জেলার লোকজনের যাতায়াত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এই উপজেলায় আজ শুক্রবার পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১১৮ জন। তাঁদের মধ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলমও রয়েছেন। এ ছাড়া আক্রান্তের তালিকায় আছেন ৯ জন চিকিৎসকসহ ১৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী, ৭ জন ব্যাংকার ও ২ জন পুলিশ কর্মকর্তা। সুস্থ হয়েছেন ১০৬ জন। মারা গেছেন একজন। এ পর্যন্ত উপজেলায় ৯৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দুই সপ্তাহ আগ থেকেই সামাজিক সংক্রমণের মাত্রা কমে আসছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। তবে যতই দিন যাচ্ছে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার নমুনা দেওয়ার আগ্রহ কমে যাচ্ছে। আবার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণেও শৈথিল্য এসেছে। এরই মধ্যে ঈদুল আজহা চলে আসায় শুরু হয়েছে পশুর হাট। উপজেলার এসব হাট পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়নে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে আশা জাগানিয়া সংক্রমণ কমার অগ্রগতি নিয়ে এই মুহূর্তে পুরোপুরি স্বস্তি বোধ করার সুযোগ নেই।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানভীর হাসান বলেন, সবই ঠিক আছে। ভয়টা এখন পশুর হাট নিয়ে। প্রতিটি পশুর হাটে লোকারণ্যের কারণে কোনো না কোনোভাবে একজন অন্যজনের স্পর্শ পেয়ে যাচ্ছেন। ঈদের পরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে তখনই কেবল পরিস্থিতি নিয়ে সঠিক মূল্যায়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে।