অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার পুলিশ কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র্যাব।
বুধবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কনস্টেবল রুবেল শর্মা টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের অন্যতম সহযোগী ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিনহা হত্যা মামলায় সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বুধবার দ্বিতীয় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আট দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় রুবেল শর্মাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তখন সিনহা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে রুবেল শর্মা গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য দিয়েছেন। এখন আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় সিনহাকে আসামি করা হয়। পরে ৫ অক্টোবর সিনহার বোনের করা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। এরপর ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ওসি প্রদীপসহ পুলিশের সাত সদস্যকে সিনহার বোনের করা মামলায় গ্রেপ্তার (আসামি) দেখানো হয়। বর্তমানে কনস্টেবল রুবেল শর্মাসহ সিনহা হত্যা মামলায় মোট আসামি ১৪ জন।
আগের ১৩ আসামি হলেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের তিন সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ এবং টেকনাফের মারিশবুনিয়া গ্রামের তিন ব্যক্তি নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আইয়াস। তাঁরা সবাই কারাগারে আছেন।