একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন ৯ ভাইবোন, দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৫ জনের
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হাসিনাপাড়া এলাকার সুরেশ চন্দ্র সুশীল ১০ দিন আগে মারা গেছেন। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য সুরেশের সাত ছেলে ও দুই মেয়ে আজ মঙ্গলবার ভোরে স্থানীয় একটি মন্দিরে যান। সেখান থেকে নয় ভাইবোন একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পিকআপের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে একসঙ্গে চার ভাই নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেলে আরও এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। মালুমঘাট হাইওয়ে থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক সাফায়েত হোসেন বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলা অংশের মালুমঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মন্দিরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নয় ভাইবোন একসঙ্গে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালসংলগ্ন রাস্তা পার হতে গিয়ে পিকআপের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই চার ভাই নিহত হন।
নিহতরা হলেন অনুপম সুশীল (৪৭), নিরুপম সুশীল (৪৫), দীপক সুশীল (৪০), চম্পক সুশীল (৩০) ও স্মরণ সুশীল। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দু্ই ভাই রক্ষিত সুশীল ও প্লাবন সুশীল এবং বোন হীরা সুশীল। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে ওই সময় ঘটনাস্থলে থাকা আরেক বোন মুন্নী সুশীল (২৮) অক্ষত ছিলেন।
ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম বলেন, বাবার মৃত্যুর ১০ দিন পার না হতেই পাঁচ ছেলের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইউপির পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের লাশ সৎকারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ পরিদর্শক সাফায়েত হোসেন বলেন, কক্সবাজারমুখী দ্রুতগামী পিকআপের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই চার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তবে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পিকআপটি নিয়ে এর চালক পালিয়ে গেছেন। পিকআপ ও এর চালককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।