এক মাস পর স্বজনদের সঙ্গে দেখা করলেন বিএমডিএর চেয়ারম্যান

বিএমডিএর চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান দুই পরিবারের স্বজনদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন
ছবি: প্রথম আলো

এমডিএ) চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহানকীটনাশক পানে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দুই কৃষকের মৃত্যুর প্রায় এক মাস পর স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেছেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিএমডিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে আখতার জাহান উপজেলার নিমঘটু গ্রামে ওই কৃষকদের বাড়িতে যান।

বেগম আখতার জাহান প্রথমেই কৃষক রবি মারান্ডির বাড়িতে যান। এ সময় বাড়িতে শুধু রবির মা দলিনা মুর্মু ছিলেন। বিএমডিএ চেয়ারম্যান তাঁকে সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, পানি নিয়ে সমস্যার কথা আগে জানতে পারলে তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেন। এখন রবি চলে গেছেন। তবে বিএমডিএ রবির পরিবারের পাশে থাকবে।

দলিনা মুর্মু এ সময় অঝোরে কাঁদতে থাকেন। বিএমডিএ চেয়ারম্যান এ সময় দলিনা মুর্মুকে বিএমডিএর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেন।

এরপর বিএমডিএ চেয়ারম্যানসহ অন্যরা কৃষক অভিনাথ মারান্ডির বাড়িতে যান। তবে ওই সময় অভিনাথের বাড়িতে কেউ ছিলেন না। অভিনাথের বাড়ির পাশে তাঁর মায়ের বাড়িতেও কাউকে পাওয়া যায়নি। আজ দুপুর পর্যন্ত অভিনাথের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফেরেননি। পরে অভিনাথের পরিবারের ৫০ হাজার টাকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিনের জিম্মায় দেওয়া হয়।

আখতার জাহান বলেন, দুই কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায় পরিবার যে মামলা করেছে, সেটা আইনের গতিতেই চলবে। বিএমডিএ দুই পরিবারের পাশেই আছে। দলিনা মুর্মুকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।

গত ২৩ মার্চ গোদাগাড়ীর নিমঘটু গ্রামে সঠিক সময়ে ধানের জমিতে পানি না পেয়ে কৃষক অভিনাথ মারান্ডি ও রবি মারান্ডি বিষপানে আত্মহত্যা করেন বলে তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। পরে এ ঘটনায় নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেন অভিনাথের স্ত্রী রোজিনা হেমব্রম।

পুলিশ গভীর নলকূপের অপারেটর সাখওয়াতকে গ্রেপ্তার করেছে। বিএমডিএ তাঁকে চাকরিচ্যুত করেছে। ১৬ এপ্রিল দুই কৃষকের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছে পুলিশ। এতে বলা হয়েছে, ‘অর্গানো ফসফরাস যৌগ’ নামের এক ধরনের কীটনাশক পানে দুই কৃষকেরই মৃত্যু হয়েছে। এর আগে মন্ত্রণালয় ও বিএমডিএ কর্তৃক গঠিত দুটি তদন্ত কমিটিই গভীর নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে সেচ দেওয়ায় অনিয়ম পেয়েছে।