রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ড. শামসুজ্জোহা হলের ৩৪৪ নম্বর কক্ষ। এ কক্ষে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। করোনার আগেই তিনি লেখাপড়া শেষ করে চলে গেছেন। এরপর তাঁর কক্ষে এত দিন কেউ ওঠেনি। কিন্তু ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলতেই ওই কক্ষ দখল করতে নতুন চারটি তালা ঝোলানো হয়েছে।
শাখাওয়াত হোসেন এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে রসিকতা করে লিখেছেন, ‘হায় রে আমার হলের ৩৪৪ নম্বর রুম, শহীদ শামসুজ্জোহা হল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। তারে দখলে নিতে চারটা তালা মারছে। বিধি তুমি বলে দাও রুমটা কার, চারটা গ্রুপ একটা রুমের দাবিদার। ভাগ্য ভালো লকডাউনের মধ্যেই হল ছেড়ে দিসিলাম।’
শাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে এ ব্যাপারে বলেন, তিনি ওই হলের সিঙ্গেল রুমে থাকতেন। সাধারণত মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা এই রুমগুলো পেয়ে থাকেন। কিন্তু অবাক হয়েছেন তিনি এই দেখে যে একটি কক্ষ দখলে এতগুলো তালা মারা হয়েছে। তাঁর ধারণা, ছাত্রলীগ ছাড়া এ কাজ আর কেউ করবে না।
শহীদ শামসুজ্জোহা হলের বর্তমানে কোনো ছাত্রলীগের কমিটি নেই। তবে ওই হলের দায়িত্বে আছেন ছাত্রলীগের চিরন্তন চন্দ্র নামে একজন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার ৩৪৪ নম্বর কক্ষে তালা ঝোলানোর বিষয়টি তাঁর নজরে এসেছে। ছাত্রলীগের কেউ তালা লাগাননি। কে এই নতুন চারটি তালা লাগিয়েছেন, তাঁরাও খুঁজছেন।
শহীদ শামসুজ্জোহা হল প্রাধ্যক্ষ মো. জুলকার নায়েন প্রথম আলোকে বলেন, হলের একটি কক্ষে চারটি তালা ঝোলানো একটি ছবি ফেসবুকের মাধ্যমে নজরে এসেছে। সাধারণত হল থেকে কোনো শিক্ষার্থী চলে যাওয়ার পর হল কর্তৃপক্ষ একটি তালা লাগিয়ে দেয়। কিন্তু বাকি তালাগুলো কে বা কারা লাগিয়েছে, তা তাঁর জানা নেই। বুধবার ছুটির দিন থাকায় তিনি হলে যেতে পারেননি। বৃহস্পতিবার তিনি হলে গিয়ে এ বিষয়ে দেখবেন। কেউ লাগিয়ে থাকলে এ বিষয়ে ব্যবস্থাও নেবেন।