‘এই কম্বলডার খুব দরকার ছিল’

প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ২০০ অসহায় শীতার্ত কম্বল পেয়েছেন। আজ সকালে বেড়ায় বন্ধুসভার অস্থায়ী কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

পাবনার বেড়া পৌর এলাকার শাহাবানু খাতুনের (৭০) নিজের কোনো বাড়ি নেই। অন্যের বাড়িতে ঘর তুলে বাস করেন। ঘরের ভাঙা বেড়া দিয়ে হু হু করে হিমেল হাওয়া ঢোকে। এ অবস্থায় আজ শনিবার প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে কম্বল পেয়ে হাসি ফুটেছে তাঁর মুখে।

শাহাবানু বলেন, ‘পুরান লেপ-কাঁথা ছিঁড়্যা গ্যাছে। ওসব দিয়্যা শীত মানে না। তুমাগরে কম্বলখান পায়া এখন শীতের কষ্ট দূর হবি।’

আজ সকালে বেড়া বন্ধুসভার অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে শাহাবানুর মতো ২০০ অসহায় শীতার্তের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বেড়া পৌরসভার শেখপাড়া, মৈত্রবাঁধা, বনগ্রাম, সান্ডিয়ালপাড়া, দাসপাড়া, দত্তকান্দি ও বৃশালিখা মহল্লার অসহায় মানুষের মধ্যে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।

কম্বল পেয়ে শেখপাড়া মহল্লার অশীতিপর আমিতন খাতুন (৮৫) বলেন, ‘এই বয়সে শীতের কষ্টই সবচেয়ে বড় কষ্ট। ছিঁড়া কাঁথায় রাত যায় না। এই কম্বলডার খুব দরকার ছিল। কম্বলডা পায়া খুব উপকার হলো।’

কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেড়া উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কাজী ইমরান সাঈদ, বেড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও মনজুর কাদের মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, দুদুলিয়াকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিখা রাহা, প্রথম আলোর বেড়া প্রতিনিধি বরুন রায়, বেড়া বন্ধুসভার সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এম আই হাসানসহ বেড়া বন্ধুসভার সদস্যরা।

বেড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রথম আলো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজও করে থাকে। বন্যার সময়েও প্রথম আলো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রথম আলোর এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য।

কম্বল পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বেড়া উপজেলার বাসিন্দারা
ছবি: প্রথম আলো

উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কাজী ইমরান সাঈদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রথম আলো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এটা চমৎকার উদ্যোগ।

দুদুলিয়াকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিখা রাহা বলেন, ‘প্রথম আলো এর আগে অনেক এলাকায় দুস্থদের ঘর তুলে দিয়েছে। আমাদের বেড়া উপজেলাতেও প্রথম আলো স্কুলঘর তৈরি করে দিয়েছে, অসহায় কুমার ও ঋষি পরিবারের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মূলধন হিসেবে আর্থিক সহায়তা করেছে। আর এ ধরনের শীতবস্ত্র প্রতিবছরই বিতরণ করছে। এ জন্য প্রথম আলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে।

হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।
অথবা
বিকাশ মার্চেন্ট নম্বর: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬