ইউএনওর বাবা ভালো নেই, আসামি রবিউল ফের রিমান্ডে
সরকারি বাসভবনে হামলার শিকার দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানম এখন শঙ্কামুক্ত। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে তাঁর বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীর শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের চিকিৎসকেরা।
এদিকে ইউএনওর ওপর হামলায় গ্রেপ্তার আসামি রবিউল ইসলামকে আবার রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওমর আলীর শারীরিক অবস্থা ততটা ভালো নয়। তাঁর হাতের শক্তি আছে, তবে পায়ে কোনো শক্তি নেই। এ ছাড়া তাঁর স্পাইনাল কর্ডেও আঘাত রয়েছে। তাঁর শরীরের চিকিৎসা বিষয়ক বিভিন্ন পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। এটা পাওয়ার পর অস্ত্রোপচার করা হবে কি না এ বিষয়ে আগামীকাল শনিবার মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।’
ইউএনও ওয়াহিদা শঙ্কামুক্ত কি না জানতে চাইলে বদরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওয়াহিদা খানমের অবস্থা দিনকে দিন ভালো হচ্ছে। তাঁকে এখন শঙ্কামুক্ত বলা যায়।’
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ইউএনও ওয়াহিদার শরীরে অস্ত্রোপচার করা স্থানগুলোর উন্নতি হচ্ছে। তিনি শক্ত খাবার খাচ্ছেন। ওয়াহিদার ডান হাত অবশ ছিল, ওই হাতের কনুই পর্যন্ত অংশের উন্নতি হয়েছে।
এদিকে ইউএনওর ওপর হামলার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইমাম জাফর আজ সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, পুলিশ আদালতের কাছে রবিউলকে আবারও সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল। দিনাজপুর আমলি আদালত-৭ এর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আঞ্জুমান আরা বেগম তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন। রিমান্ড শেষে পুনরায় রবিউলকে আদালতে হাজির করা হবে।
প্রথম দফায় রবিউলকে ৬ দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। সেই রিমান্ড শেষে আজ রবিউলকে আদালতে নেওয়া হয়। পুলিশ তাঁকে আদালতে নেওয়ার আগে বলেছিল, রবিউল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরের ইউএনওর সরকারি বাসভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা ও তাঁর বাবার ওপর হামলা চালায়। হামলার পর ইউএনও ওয়াহিদাকে ঢাকার নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে এনে অস্ত্রোপচার করা হয়। ৭০ বছর বয়সী ওমর আলীকে নিউরোসায়েন্সেস হসপিটালে আনা হয় ১৩ সেপ্টেম্বর। এর আগে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।