ইউএনওর ওপর হামলা, পুলিশ বলছে হামলাকারী একজনই
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনাটি ক্ষোভ থেকে ঘটেছে এবং হামলাকারী একজনই বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা হামলাকারীকে শনাক্ত করতে পেরেছেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে হামলার প্রকৃত কারণ ও অপরাধীকে সামনে নিয়ে আসা হবে।
ঘটনা তদন্তে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) কয়েকটি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার হামলার ঘটনার নবম দিন। সকালে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার ঘটনা তদন্তের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছেন তাঁরা। হামলাকারী একজনই এবং তাঁর সহযোগী একজন থাকতে পারে। হামলাকারীর সঙ্গে সহযোগীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে হামলাকারী ইউএনওর অফিস চত্বরের কেউ—বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই কর্মকর্তা। হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, মই, লাঠি জব্দের কথাও জানান তিনি।
এর আগে ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে সরকারি বাসভবনে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীকে ধরার চেষ্টা চালান গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। ঘটনার পর থেকে প্রথমে ইউএনওর বাসার নৈশপ্রহরী নাজিম হাসান পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পাঁচজন নেতা–কর্মীও রয়েছেন।
সবশেষ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বুধবার দুপুরে মোত্তালিব হোসেন (৩৮) নামের এক নির্মাণশ্রমিককে (রাজমিস্ত্রি) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। আজ সকালে ওই রাজমিস্ত্রিসহ আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়ার কথাও জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নির্মাণশ্রমিক হুমায়ুন, মোত্তালিব, লাল মিয়া ও শাহীন হোসেন।
ওসি প্রত্যাহার
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁর স্থলে রংপুর সদর থানা থেকে আজিমউদ্দিন নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। ওসি আমিরুল ইসলাম ঘোড়াঘাট থানায় যোগ দেন ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর।