আশুলিয়ায় ইজিবাইক চোর চক্রের সদস্য সন্দেহে আটক ৫

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ইজিবাইক চোর চক্রের সদস্য সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৩)। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটারিচালিত ১৮টি চোরাই ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন লালমনিরহাটের বশির আহম্মদ (৪০), জিয়াউর রহমান (২৭), কিশোরগঞ্জের মোস্তফা কামাল (৪৯), দিনাজপুরের জলিল (৩২) ও নড়াইলের ওসমান (৩১)।

মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় সাভারের আশুলিয়া থানার জিরানী এলাকায় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষা একটি খোলা মাঠে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৩–এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান।

রকিবুল হাসান জানান, আশুলিয়া থানার জিরানী এলাকার বিভিন্ন গ্যারেজে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে চুরি ও ছিনতাই করা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক মজুত করছিল। পরে সেগুলোর রং পরিবর্তন করে বিক্রি করা হচ্ছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় আশুলিয়া থানার জিরানী এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ইজিবাইক চোর চক্রের হোতা বশির আহমেদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে ১৮টি ইজিবাইক উদ্ধার করেন র‌্যাবের সদস্যরা।

রকিবুল হাসান জানান, এই চোর চক্রের সদস্যরা টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী জেলায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাস ব্যবহার করে ইজিবাইকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতেন। পরে কখনো ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে, কখনো আত্মীয়স্বজনের অসুস্থতার কথা বলে ইজিবাইকচালকদের সাহায্য নিতেন। পরে কৌশলে চালকের হাত-পা বেঁধে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যেতেন। আবার কখনো চালককে অজ্ঞান করে তাঁরা ইজিবাইক ছিনিয়ে নিতেন।

রকিবুল হাসান বলেন, ইজিবাইক চুরির মূল পরিকল্পনাকারী বশির আহম্মদ। ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাস সরবরাহ করতেন মোস্তফা কামাল। জিয়াউর মুঠোফোনে কথা বলে ইজিবাইকচালকদের কাছে সাহায্য চাইতেন। জলিল ও ওসমান ইজিবাইক বিভিন্ন গ্যারেজে পৌঁছে দিতেন। পরে তাঁদের অন্য সহযোগীরা ইজিবাইকের বিভিন্ন অংশ পরিবর্তন করে বিক্রি করে দিতেন। এই চক্র টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন বছরে পাঁচ শতাধিক ইজিবাইক চুরি ও ছিনতাই করেছে।

রকিবুল হাসান বলেন, ‘অনেকেই এসেছেন তাঁদের চুরি বা ছিনতাই যাওয়া ইজিবাইকের সন্ধানে। আমরা তাঁদের এ–সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেব।’ তিনি জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।