আর চাঁদা তুলে সাঁকো তৈরি করতে হবে না
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ও পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের লোকজন চলাচলের সুবিধার্থে প্রতি দুই বছর পরপর চাঁদা তুলে জুড়ী নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। তাঁদের আর তা করতে হবে না। ওই স্থানে পাকা সেতু হচ্ছে। গতকাল শনিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী এবং মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা) আসনের স্থানীয় সাংসদ মো. শাহাব উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের খালেরমুখ বাজার ও জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রাম এলাকার সোজাসুজি ৩০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ‘এএল-একে জেভি’ নামের মৌলভীবাজার জেলা সদরের একটি যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ পেয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে কাজটি সম্পন্নের কথা।
মন্ত্রী এলাকাবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘সেতুর জন্য অনেক দিন ধরে আপনারা দাবি করে আসছেন। নির্বাচনের আগে কথা দিয়েছিলাম, সেতু করে দেব। প্রতিশ্রুতি রেখেছি। কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।’
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খালেরমুখ বাজারের বিপরীত পাশে হাকালুকি হাওর পড়েছে। ওই হাওরে দুটি ইউনিয়নের ১৫-২০টি গ্রামের লোকজনের ফসলি জমি রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে সেখানে বোরো ধান ও রবিশস্যের আবাদ হয়। সাঁকো দিয়েই হাওরের ধান আনতে হয়। পাশাপাশি নয়াগ্রামের লোকজনকে প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে সাঁকো পার হয়ে খালেরমুখ বাজারে যেতে হয়। এ ছাড়া এলাকার শিক্ষার্থীরা ওই সাঁকো দিয়ে আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়ে।
এ নিয়ে ৭ এপ্রিল প্রথম আলোয় ‘চাঁদা তুলে সাঁকো নির্মাণ’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়।