আনোয়ারায় ডিএপি সার কারখানার উৎপাদন এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ

আনোয়ারায় ডাই–অ্যামোনিয়া ফসফেট (ডিএপি) ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের কারখানা।
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ডাই–অ্যামোনিয়া ফসফেট (ডিএপি) ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডে এক সপ্তাহ ধরে সার উৎপাদন বন্ধ আছে। ফসফরিক অ্যাসিডের অভাবে উৎপাদন বন্ধ দেশের একমাত্র ডিএপি সার উৎপাদনকারী এই কারখানায়।

সারকারখানা সূত্রে জানা যায়, ১ জুলাই থেকে ফসফরিক অ্যাসিডের মজুত শূন্য হয়ে পড়েছে। নির্ধারিত সময়ে ফসফরিক অ্যাসিড পাওয়া না গেলে কারখানার সার উৎপাদন দীর্ঘ মেয়াদের জন্য বন্ধ হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে।

এ সম্পর্কে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরুণ কান্তি সরকার বলেন, ‘ফসফরিক অ্যাসিড মজুত শেষ হওয়ায় কারখানার উৎপাদন বন্ধ হলেও এটি ক্রয়ের প্রক্রিয়াও চলছে। তবে লকডাউনের কারণে একটু বিলম্বিত হচ্ছে। আমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি, এ মাসে সমস্যা কেটে যাবে।’

কারখানা সূত্রে জানা যায়, এক মাস আগে ১৭৭ কোটি ৩৪ লাখ ৭ হাজার ২৪৪ টাকা ব্যয়ে দরপত্রের বিপরীতে প্রাপ্ত টিইসি কর্তৃক মূল্যায়িত সর্বনিম্ন দুজন দরদাতা থেকে তিনটি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড ক্রয়ের প্রস্তাব করা হয়। এ বিষয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে অনুমোদনের জন্য গত ২ জুন প্রস্তাবটি শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তবে মন্ত্রণালয় থেকে ওই প্রস্তাব এখনো সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটিতে যায়নি। ২৩ জুলাই দরপত্রের প্রস্তাবটির বৈধতার সময়সীমা পার হবে। ওই সময়সীমার মধ্যে প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন না পেলে কারখানাটি এক বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে করে কারখানায় বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হবে। পাশাপাশি কৃষি মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী সার সরবরাহ করতে পারবে না।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে ডাই–অ্যামোনিয়া ফসফেট ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (ডিএপিএফসিএল) পরিচালিত হয়। দেশের কৃষি খাতে সুষম ও উপযুক্ত সার ব্যবহারের মাধ্যমে যৌগিক সারের (নাইট্রোজেন ও ফসফরাস সংবলিত) চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে সরকার কারখানাটি স্থাপন করে। ২০০৬ সাল থেকে কারখানায় বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। ওই কারখানার দুটি ইউনিটের প্রতিটিতে ৮০০ মেট্রিক টন সার উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে।

ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের সিবিএ সভাপতি ফরিদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু জাহের বলেন, ‘আমরা কাজ করতে চাই। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে কারখানাটি বন্ধ আছে। এ কারণে আমরা হতাশাগ্রস্ত।’