সীতাকুণ্ডে ডিপোতে বিস্ফোরণের আগে আগুন লাগার সময়ও ডিপোর পকেট গেট বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন বেঁচে ফেরা কয়েকজন শ্রমিক। তাঁদের অভিযোগ, ডিপোর দক্ষিণ পাশের পকেট গেটটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যান নিরাপত্তাকর্মী।
তাঁরা বলেন, ডিপোতে আগুন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বরত শ্রমিকেরা ডিপোর দক্ষিণ পাশের পকেট গেট দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাইরে তালা লাগিয়ে গেটের দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী পালিয়ে যাওয়ায় আর কোনো শ্রমিক ভেতর থেকে বের হতে পারেননি।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনঃ
ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার রাতেই প্রাণ গেল আলাউদ্দিনের
‘পুড়ে যাচ্ছি, মরে যাচ্ছি’ বলতে বলতেই মারা গেলেন মহিউদ্দিন
বিএম কনটেইনার ডিপোয় কী হতো, মালিকানায় কারা
ডিপোতে দাঁড়িয়ে করছিলেন ফেসবুক লাইভ, হঠাৎ বিস্ফোরণে গেল প্রাণ
ডিপোর ভেতরে আটকে পড়া শ্রমিকেরা বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অংশে মূল গেট। ডিপোর দক্ষিণ পাশের মাঝামাঝিতে নিরাপত্তা দেয়ালের সঙ্গে আছে ছোট একটি পকেট গেট। এই গেট দিয়ে ডিপোতে কর্মরত কর্মকর্তা ও শ্রমিকেরা খাবার খেতে এবং আবাসিক ভবনে যাতায়াত করেন। এ গেট খোলা রাখার সময় সকাল ৭-৯টা, বেলা ১টা থেকে আড়াইটা ও সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।
শ্রমিকেরা বলেন, গতকাল শনিবার রাতে ডিপোতে আগুন লাগার সময় গেটের দায়িত্বে ছিলেন বাহার উদ্দিন নামের এক নিরাপত্তাকর্মী। আগুন লাগার পর গেটের বাইরে তালা দিয়ে তিনি পালিয়ে যান। ফলে বিস্ফোরণের আগে এ গেট দিয়ে বাইরে আসার চেষ্টা করেও বের হতে পারেননি শ্রমিকেরা।
চেষ্টা করেও পকেট গেট দিয়ে বের হতে না পেরে ভেতরে আটকে ছিলেন শ্রমিক মো. আরাফাত (১৯)। তাঁর বাড়ি কক্সবাজার সদরে। প্রথম আলোকে আরাফাত বলেন, দারোয়ান পালিয়ে যাওয়ায় ১৫০ থেকে ২০০ জন শ্রমিক পকেট গেট দিয়ে বের হতে চেয়েও পারেননি। পরে বিস্ফোরণ হলে উড়ে আসা একটি অ্যাঙ্গেল তাঁর পায়ের ওপর পড়ে।
আরেক শ্রমিক রুম্মান মিয়া বলেন, বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজে গেটের দরজা ভেঙে পড়লে সেখান দিয়ে বের হন তাঁরা। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।