আওয়ামী লীগের অভিধানে নিরপেক্ষ নির্বাচন বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেছেন, ‘দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন থাকলে অনেক আগেই সরকারের পাওয়ার ডাউন হয়ে যেত।’
আজ সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট পৌর শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এমরান সালেহ। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম মিয়া।
এমরান সালেহ বলেন, ভোটাধিকার হরণ করে অনুগত প্রশাসনের মাধ্যমে দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতা জবরদখল করে সরকার দুর্নীতি, দুঃশাসন ও জনদুর্ভোগ সৃস্টি করে যাচ্ছে। তাঁদের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে গ্যাস, চাল, ডাল, তেলসহ প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। মানুষ অর্ধাহারে, অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘গতকাল সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা বলেছেন, “সকল দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।” এ ক্ষেত্রে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’
এমরান সালেহ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে জনদুর্ভোগ দূর হবে না, বরং বেড়েই চলবে। তাই এই ব্যর্থ, অযোগ্য সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
এ সময় অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এই বিএনপির নেতা বলেন, অন্যথায় খালেদা জিয়ার কিছু হলে, এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
সমাবেশে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হাই, বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, আরফান আলী, আবদুল হামিদ, হোসনে আরা নীলু, কাজী ফরিদ আহমেদ, মনোয়ারা বেগম, রফিকুল ইসলাম, পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক মইন উদ্দিন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মালেক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুহুল আমিন খান, শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল গণি, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আতিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফিন তাজবীর, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।