কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন কর্তব্যরত অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য গাফিলতি বা অনিয়ম করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুমিল্লার ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে পুলিশ সুপার এ কথা বলেন।
ফারুক আহমেদ বলেন, দায়িত্বরত অবস্থায় কেউ গাফিলতি ও অনিয়ম করলে ছাড় দেওয়া হবে না। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতীতেও আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের শাস্তি দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
ফারুক আহমেদ আরও বলেন, নির্বাচনে ৩ হাজার ৬০৮ জন পুলিশ সদস্য মাঠে থাকবেন। তাঁরা কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে কোনো ধরনের ঝামেলা সহ্য করা হবে না।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা সিটি নির্বাচন কাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৭টি ওয়ার্ডে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬। আর হিজড়া ভোটার দুজন। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। এতে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী হয়েছেন।
নির্বাচনে ১০৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৭৫টি তল্লাশীচৌকি, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৩০টি টিম, ৫২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। পুলিশের ৩ হাজার ৬০৮ জন সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন।
নির্বাচনে ইভিএমে কোনো ধরনের যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে ৩৫ জন ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে সেটি মেরামত করবেন। ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের সারিতে একটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। প্রতি বুথে (কক্ষে) ১টি করে মোট ৬৪০টি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। ভোট কক্ষের ভেতরে কোনো এজেন্ট কোনো ভোটারকে তাঁর পছন্দের প্রতীকে ভোটদানে প্রভাবিত করলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।