অস্ত্রোপচারকক্ষে বালিশ–কাঁথা-কম্বল, জরিমানা ৬ লাখ টাকা
সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালের অস্ত্রোপচারকক্ষ (অপারেশন থিয়েটার) কর্মীদের ঘুমানোর স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সেখানে পাওয়া গেল কাঁথা, কম্বল ও বালিশ। সেই কক্ষে আরও ছিল চেয়ার, টেবিল, লাগেজ ও ট্রলি। নোংরা অবস্থায় ছিল কক্ষটি।
রোববার দুপুরে সিলেট নগরের সোবহানীঘাট এলাকার মা ও শিশু হাসপাতালে এমন অবস্থা পেয়ে হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তাদের জরিমানা করেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ও র্যাব-৯–এর সদস্যদের নিয়ে অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন, হাসপাতালের অস্ত্রোপচারকক্ষ অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় ছিল। কক্ষটিতে অস্ত্রোপচার করা হতো, কিন্তু কক্ষটি যেভাবে তত্ত্বাবধান করার কথা, সেভাবে করা হতো না। কক্ষটিতে কাঁথা, বালিশ ও কম্বল নিয়ে কর্মীরা শুয়ে থাকেন। অস্ত্রোপচারকক্ষে একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক থাকার কথা, সেখানে ‘আনকোয়ালিফায়েড’ লোককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
হাসপাতালটির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মুর্শেদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ভালো সার্ভিস দিচ্ছি। তবে সার্ভিস দিতে গিয়ে টুকটাক ঘাটতি থেকে যায়। হাসপাতালের একজন কর্মী অস্ত্রোপচারকক্ষে একটি কাঁথা রেখে দিয়েছিল। সেটি আমাদের খেয়াল করার কথা ছিল। তবে আমরা এটি খেয়াল করতে পারিনি। এতে কিছুটা ঘাটতি হয়েছে। যন্ত্রপাতি, রেজিস্টার্ড মেইনটেইনসহ ঘাটতি যেগুলো রয়েছে, আমরা ফিলআপ করে নেব।’
গত বছরের ২৮ এপ্রিল র্যাব-৯ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে হাসপাতালটিতে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।