ময়মনসিংহে দ্রোহযাত্রা কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ

ময়মনসিংহে দ্রোহযাত্রা নামের এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। আজ বেলা ১১টার পর নগরের মালগুদাম চত্বরেছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহে শিক্ষার্থী জনতার দ্রোহযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের মালগুদাম চত্বর থেকে শুরু হয়ে কর্মসূচিটি টাউন হল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। গণগ্রেপ্তার বন্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, কারফিউ প্রত্যাহার, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতার হত্যার দায়সহ কয়েকটি দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এতে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, শ্রমিক, নারী, সাংস্কৃতিক কর্মী, চিকিৎসক আইনজীবী, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন।

দ্রোহযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল, সনৎ কুমার ঘোষ, নারী নেত্রী ফেরদৌস আরা মাহমুদা হেলেন, আইনজীবী এমদাদুল হক মিল্লাত, শিক্ষক মোতাহার হোসেন, কবি আলী ইউসুফ, মানবাধিকারকর্মী অঞ্জন সরকার, সংস্কৃতিকর্মী সারওয়ার কামাল রবীন ও নাসিমা আক্তার, আইনজীবী সাইফুল সালেহীন প্রমুখ।

আরও পড়ুন

এ সময় বক্তারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেভাবে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনী গুলি করে শত শত ছাত্র  হত্যা করেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে তা বিরল। ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ, তাঁদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনে এভাবে গুলি চালানোর অধিকার কারও নেই। এখন সারা দেশে ছাত্র জনতার ওপর চলছে গণগ্রেপ্তার, রাতের আঁধারে হানাদার বাহিনীর মতো বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে, গ্রেপ্তার ছাত্রদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। যেভাবে দেশের সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার দায় নিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

আরও পড়ুন