রাজবাড়ীতে প্রতিমা ভাঙচুর, পরে ঠিকঠাক করে পূজা শুরু
রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা মধ্যপাড়া সর্বজনীন দুর্গামন্দিরের প্রতিমার মুখ ও হাত ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মন্দিরটি শহরের বড়পুল-রাজবাড়ী সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিসংলগ্ন স্থানীয় কুঞ্জন সরকারের বাড়ির সামনে অবস্থিত।
গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা প্রতিমা ভাঙচুর করে। সন্ধ্যার দিকে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে প্রতিমা ঠিকঠাক করে আজ বুধবার থেকে পূজা শুরু হয়।
আজ সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিমাগুলো ঠিকঠাক করা হয়েছে। দুজন পুরুষ ও দুজন নারী আনসার সদস্য লাঠি হাতে পাহারায় আছেন। সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ অনেকেই খোঁজখবর নিতে আসছেন।
প্রতিমা ভাঙার খবর পেয়ে গতকাল রাতেই পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সিদ্ধার্থ ভৌমিক, পুলিশ সুপার মোছা. শামীমা পারভিন ও সেনাবাহিনীর সদস্যসহ কর্মকর্তারা।
পূজামণ্ডপে কথা হয় স্থানীয় বর্ষণ দাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, দুর্গাপ্রতিমা কাপড় ও টিন দিয়ে ঘিরে রাখা ছিল। গতকাল বেলা ১১টার দিকে তাঁরা দেখতে পান দুর্বৃত্তরা প্রতিমা ভাঙচুর করে ফেলে গেছে। সোমবার রাত তিনটা পর্যন্ত প্রতিমার কাজ শেষ করে বাড়ি যান তাঁরা। ফলে তাঁর ধারণা, সোমবার মধ্যরাতের পর থেকে গতকাল ভোরের মধ্যে কোনো এক সময় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কোনো পাহারাদার বা সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রতিমাশিল্পীরা মঙ্গলবার সারা দিন চেষ্টা করে প্রতিমা ঠিকঠাক করেন।
পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি সাধন দাস মুঠোফোনে বলেন, ‘এ নিয়ে আমরা আর কোনো কিছু করতে চাচ্ছি না। মিডিয়াকেও কিছু বলতে চাচ্ছি না। এলাকাবাসীকে নিয়ে সম্প্রীতির বন্ধনে পূজা উদ্যাপন করতে চাই।’
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর ফেসবুকের মাধ্যমে পুলিশ ঘটনাটি জানতে পারে। সদর উপজেলার ১১০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে। নিরাপত্তা দিতে ১৩টি ভ্রাম্যমাণ দল নিয়মিত টহল দিচ্ছে। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় কোনো অভিযোগ কেউ দেয়নি। অপরাধীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে তিনি জানান।