ব্যাংক কর্মচারীকে হাতকড়া পরিয়ে তুলে নিয়ে প্রায় ১৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় দিনদুপুরে এজেন্ট ব্যাংকের এক কর্মচারীকে হাতকড়া পরিয়ে অপহরণ ও মারপিট করে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামে ইছাপুরা-ভবানীপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
অপহরণ ও ছিনতাইয়ের শিকার ওই ব্যক্তির নাম আফজাল শেখ। তিনি ওই ইউনিয়নের ভবানীরপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের প্রয়াত জসিমউদ্দিন শেখের ছেলে এবং ভবানীরপুর ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখার কর্মচারী।
আফজাল শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ভবানীপুর এজেন্ট শাখার জন্য আজ দুপুরে ইসলামী ব্যাংক নিমতলা শাখা থেকে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা তুলে বাসে করে ইছাপুরা আসেন তিনি। পরে ইছাপুরা থেকে ভবানীপুর এজেন্ট শাখায় যাওয়ার উদ্দেশে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। তাঁর রিকশাটি কাঁঠালতলী গ্রামে ফারুকের পোলট্রি ফার্মের সামনে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস তাঁর রিকশার গতিরোধ করেন। পরে চার-পাঁচজন লোক নেমে অস্ত্রের মুখে হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে গাড়িতে তোলে। তাঁর চোখের চশমা ভেঙে চোখ বেঁধে ফেলে ওই দুর্বৃত্তরা। চোখ বাঁধা ও হাতকড়া পরানোর কারণ জানতে চাইলে দুর্বৃত্তরা আফজালকে মারধর করে এবং বলে, তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা রয়েছে। এ জন্য তাঁকে আদালতে চালান দেবে। পরে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের একটি নির্জন স্থানে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
এ ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংক ভবানীপুর এজেন্ট শাখার এজেন্ট কামাল শেখ বলেন, ‘আফজাল প্রায় সময় এভাবে টাকা আনা-নেওয়ার কাজ করতেন। কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। আমরা থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। যারা আফজালকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের পরনে ডিবির জ্যাকেট ছিল। যেখান থেকে আফজালকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও আফজালকে তুলে নেওয়ার ভিডিও আমরা দেখেছি।’
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) আ ন ম ইমরান খান সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং যাঁর কাছ থেকে টাকা ছিনতাই হয়েছে, তাঁর সঙ্গে কথা বলে তদন্তকাজ শুরু করেছি। যত দূর শুনেছি, আফজাল খানকে মাইক্রোবাসে করে উঠিয়ে নিয়ে মারধর করে এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা ও আবদুল্লাপুরের মাঝামাঝি এলাকায় ফেলে যায়। তবে গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের গায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাক ছিল কি না, এটা আফজাল খান বলতে পারছেন না। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।’