কুড়িগ্রামে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুই প্রার্থীর ভোট বর্জন

কুড়িগ্রাম জেলার মানচিত্র

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৩ (চিলমারী, রৌমারী, চর রাজিবপুর) আসনে কেন্দ্রে অনিয়ম, জাল ভোট ও এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন দুজন প্রার্থী।

তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবর রহমান (ঈগল প্রতীক) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ কে এম সাইফুর রহমান (লাঙ্গল প্রতীক)। আজ রোববার বিকেলে নিজ নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে এই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন দুই প্রার্থী।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন এবার সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন। সে জন্য আমি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু গতকাল রাত থেকে ছাত্রলীগের ছেলেরা আমার এজেন্টদের ধরে নিয়ে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এ জন্য আমার অনেক কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারিনি। সেই সুযোগে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিপ্লব হাসান পলাশ ঢাকা থেকে নিয়ে আসা প্রায় ৫ হাজার ছাত্রলীগ কর্মীকে দিয়ে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট গ্রহণ শুরু করে। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমি এই প্রহসনের নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম। আমি ভোট বর্জন করলাম।’

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ কে এম সাইফুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে আমি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। কিন্তু নির্বাচনটা যে প্রহসনের হবে, তা আমার জানা ছিল না। রৌমারী রাজিবপুর, চিলমারী উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্রে জাল ভোট হয়েছে। ছোট ছোট বাচ্চারা যারা ভোটার নয়, তারাও ভোট দিয়েছে। যেখানে যে অবস্থায় পারছে সিল মেরে নিচ্ছে। যার কারণে আমি এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’

রৌমারী উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘দুই প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্র পরিদর্শন করেছিলাম। কোথাও কোনো অনিয়মের চিত্র চোখে পড়েনি। আমি ওই দুই প্রার্থীর এজেন্টেদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাঁরাও জানিয়েছে কেন্দ্রে কোনো অনিয়ম ঘটেনি। এই আসনে মোট ১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁদের দুজনের ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর অভিযোগ নেই।’