ময়মনসিংহে বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় ফিলিং স্টেশনের মালিককে আসামি করে মামলা
ময়মনসিংহ নগরের রহমতপুর বাইপাস এলাকায় একটি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহত প্রাইভেট কারচালক হিমেল আহম্মেদের মা হেনা আক্তার বাদী হয়ে আজ বুধবার বিকেলে এ মামলা করেন। তবে ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও আজ রাত আটটা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলায় আসামি হিসেবে আজহার সিএনজি পাম্পের মালিক আজহারুল ইসলামসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৪ থেকে ৫ জনকে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান মামলার তথ্য নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
গত সোমবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল সড়কে রহমতপুর বাইপাস এলাকায় আজহার ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেট কারের চালক হিমেল আহমেদের (৩২) মৃত্যু হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিসমত গ্রামের বৃদ্ধ আবদুল কদ্দুস (৮৫) ও হারগুজিরপাড় গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের (৪৫) মৃত্যু হয়। শেষ ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে নিজকল্পা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (৪৫) মারা যান। এ ঘটনায় এখনো তিনজন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন দুজন।
চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
বিস্ফোরণের পর রহমতপুর বাইপাস মোড় এলাকায় জনসাধারণের চলাচলের ওপর জারি করা জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার রহমতপুর বাইপাস মোড়ে অবস্থিত আজাহার সিএনজি ও পেট্রোলিয়াম ফিলিং অ্যান্ড কনভারসান সেন্টার এবং ইন্ট্রাকো এলপিজি লিমিটেড ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন রহমতপুর বাইপাস মোড় থেকে পূর্ব দিকে ৫০০ মিটার পর্যন্ত রাস্তা ও সংলগ্ন স্থানে সব ধরনের যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ময়মনসিংহ ও এলপিজি বিশেষজ্ঞ দলের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সড়কে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে কোনো ঝুঁকি নেই বলে মতামত দিয়েছে। জেলা পুলিশ এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর ইতিবাচক মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সব ধরনের যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।