২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বান্দরবানের দুর্গম এলাকা থেকে ৫ জঙ্গি গ্রেপ্তার

বান্দরবানে গ্রেপ্তার হওয়া জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার পাঁচজন সদস্য। আজ বেলা সোয়া ১১টায় র‌্যাবের বান্দরবান কার্যালয়ের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও থানচির দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দিল শারক্বীয়ার পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বান্দরবান জেলা পরিষদের মিলনায়তনে আয়োজিত র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক খন্দকার আল মঈন এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন।

থানচি থেকে তিন জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক। অন্য দুই জঙ্গি হলেন—কুমিল্লার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে সালেহ আহমেদ ওরফে সাইহা (২৭) ও সিলেটের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাদিকুর রহমান ওরফে ফারকুন (৩০)। এ ছাড়া রোয়াংছড়ি থেকে গ্রেপ্তার দুজন হলেন—কুমিল্লার বাইজিদ ইসলাম মুয়াজ ওরফে বাইরু (২১) ও নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির আবদুল কুদ্দুসের ছেলে নিজাম উদ্দিন হিরণ ওরফে ইউসুফ (৩০)।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গতকাল বুধবার ওই পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ২০ অক্টোবর সাতজন জঙ্গি ও তিনজন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৯ অক্টোবর থেকে কেএনএফ ও শারক্বীয়া জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে। ওই অভিযানে ২০ অক্টোবর থেকে মোট ১২ জন জঙ্গি ও এখন পর্যন্ত ১৪ জন কেএনএফের সশস্ত্র সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন বলেন, গতকাল গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনই হিজরতের নামে নিরুদ্দেশ হয়ে কেএনএফের গোপন আস্তানায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে কেএনএফ ও জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর থেকে রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়ন ও এর সংলগ্ন বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলছে। কেএনএফের গোপন আস্তানায় অবস্থান ও প্রশিক্ষণরত সমতলের জঙ্গিগোষ্ঠী জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার সদস্যদের ধরার জন্য এই অভিযান এখনো চলমান। এবার থানচিকে অভিযানের আওতায় আনা হয়েছে। জঙ্গিদের অবস্থান নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। ওই তিন উপজেলায় অভিযান চলাকালে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ভ্রমণের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।