রংপুরে ঘন কুয়াশা, বিপাকে দিনমজুরেরা
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে রংপুর নগর। সেই সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। তবে কনকনে এই শীতে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুরেরা। সকালের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করেই তাঁরা বেরিয়েছেন কাজের সন্ধানে। জুবুথুবু হয়ে অনেকেই কাজ করছেন আবাদি জমিতে। আজ শুক্রবার সকালে রংপুর নগরের সিওবাজার, চব্বিশহাজারি, কুকরুল, আমাশুসহ কয়েকটি স্থান ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
উত্তরের বিভাগীয় শহর রংপুরে কয়েক দিন ধরেই ঘন কুয়াশা নামছে। রাত হলেই টিপ টিপ বৃষ্টির মতো শিশির ঝরতে শুরু করে। সকাল পর্যন্ত এর রেশ থাকে। আজ ভোর থেকেও এমন কুয়াশাবৃষ্টি দেখা গেছে। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় আজ সকালে চাকরিজীবী মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের ঘরের বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। তবে কাজের সন্ধানে বেরিয়েছেন দিনমজুরেরা। শরীরে চাদর, সোয়েটার কিংবা জ্যাকেট মুড়িয়ে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ছুটতে দেখা গেছে এসব মানুষকে।
নগরের নজিরের হাট ও বুড়িরহাট সড়কে দেখা যায় রাস্তার একপাশ দিয়ে কুয়াশার মধ্যে বাইসাইকেল নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন অনেকে। নিসেবতগঞ্জ সেতুর কাছে কথা হয় মমিনপুর এলাকার বাসিন্দা গোপাল রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে ভোরবেলা ঘন কুয়াশা পড়ছে। তবে দুই দিন থেকে কুয়াশা যেন একটু বেশি। সকাল সাড়ে নয়টা বাজলেও সূর্যের দেখা নেই। এর সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসও তো আছেই।
কুকরুল এলাকায় কথা হলো আরেক দিনমজুর শমসের আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কাজ না করলে খামো কী? তাই কষ্ট হইলেও কামোত ছুটি (ছুটে) যাওয়া লাগে।’
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত অনেক যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস-ট্রাকগুলোর ধীরগতিতে চলাচল করছে। নগরের মেডিকেল মোড়ে ঠাকুরগাঁওগামী বাসের চালক চাঁদ মিয়া বলেন, কুয়াশার মধ্যে গাড়ি চালানো খুব কষ্টকর। দুর্ঘটনা এড়াতে ধীরে গাড়ি চালিয়ে যেতে হবে। পঞ্চগড় যেতে যেখানে আড়াই ঘণ্টা লাগার কথা, সেখানে হয়তো অনেক বেশি সময় লাগবে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, রংপুরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে এই এলাকায় উত্তরের হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘন কুয়শা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।