বাবার লাশ নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে প্রাণ হারালেন ছেলে

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলোয়ার হোসেন। তাঁর লাশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে ছেলে এমদাদ হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা অন্য একটি মাইক্রোবাসে করে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় এলে অজ্ঞাতনামা গাড়ি পেছন থেকে মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মারা যান এমদাদ। আহত হন আরও তিনজন।

আজ শুক্রবার ভোরে গজারিয়া উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাউশিয়া পাখির মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত এমদাদ হোসেন ওরফে শাওনের (২৮) বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মিয়াপুর গ্রামে। তিনি প্রয়াত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন একই গ্রামের শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী রত্না বেগম (৪০), দুলাল মিয়ার স্ত্রী কাজল (৩৫) এবং মাইক্রোবাসের চালক বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মফিজ মিয়ার ছেলে আল আমিন (২৮)।

গজারিয়ার ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক এ এস এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঢাকার একটি হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এমদাদ হোসেনের বাবা দেলোয়ার হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। গতকাল দিবাগত রাতে এমদাদ তাঁর বাবার লাশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে দিয়ে পেছনে পেছনে অন্য একটি মাইক্রোবাসে করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নোয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের গাড়িটি রাত সাড়ে তিনটার দিকে গজারিয়া অংশের বাউশিয়া পাখির মোড় এলাকায় আসে। তখন অজ্ঞাতনামা একটি গাড়ি মাইক্রোটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি রাস্তার মধ্যখানে সড়ক দ্বীপে উঠে যায়। এতে প্রচণ্ড ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক এমদাদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ পরিদর্শক এ এস এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, মাইক্রোবাসটির চালক আলামিনসহ অপর তিনজন গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। আজ সকালে এমদাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধাক্কা দেওয়া গাড়িটিকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।