আমরা চাই না আগামীতে কোনো স্বৈরশাসন গড়ে উঠুক: নুরুল হক
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক (ভিপি নুর) বলেছেন, ‘কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের ফলে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। আমরা চাই না আগামীতে এ রকম কোনো স্বৈরশাসন গড়ে উঠুক, যারা জনগণের ওপর নির্যাতন-নিষ্পেষণ চালাবে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ভোটের নামে প্রহসন করবে, সব জায়গায় দলবাজি করবে। দলীয় লোক ছাড়া অন্য কোনো লোক বিচার পাবে না। সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবে না।’
আজ শুক্রবার বিকেলে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের হাজি কেরামত আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক বলেন, স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যেন আগামীতে গড়ে উঠতে না পারে, সে জন্য তাঁরা প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চান, যা জনগণের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। জনগণ ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, সংসদ সদস্য বানান। তাঁরা জনগণের দাবি পূরণে কাজ করবেন। পটপরিবর্তনের ফলে মানুষ নতুন স্বপ্ন দেখছে। আগামীর বাংলাদেশকে তাঁরা নিজের মতো করে বিনির্মাণ করতে চাচ্ছেন। মানুষ চায়, বিগত সরকারের আমলে যেমন দেশ চলছে, আগামীর বাংলাদেশ যেন তেমন না চলে।
ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়ে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে মন্তব্য করে নুরুল হক বলেন, দেশের জনগণের দাবির প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ হয়তো নিষিদ্ধ হবে। সরকার বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে সেই পদক্ষেপ নেবে। নতুন সরকার গঠিত হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয় এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। যখন নানা ধরনের সংকট তৈরি হয়, তখন রাজনৈতিক দলের নেতা ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে তাঁদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হয়।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়ে সারা দেশের ছাত্র ও তরুণদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করেছি। নিজেদের আপসহীন লড়াই-সংগ্রামের কারণে আজ সারা দেশের মতো আন্তর্জাতিকভাবে একটি অবস্থা তৈরি হয়েছে।’
গণ অধিকার পরিষদের গলাচিপা উপজেলার আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান সভাপতিত্বে সংবর্ধনায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলাম, বরিশাল মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আবু নাঈমসহ দল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।