শ্রীনগরে অটোরিকশা ‘ছিনতাই চক্রের’ তিন সদস্যকে স্থানীয়দের পিটুনি, একজনের মৃত্যু

গণপিটুনি
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় অটোরিকশা ছিনতাই করতে যাওয়ার অভিযোগে ‘ছিনতাই চক্রের’ তিন সদস্যকে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। আজ শনিবার সকালে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে বেলা ১১টার দিকে একজন মারা যান।

আজ ভোর ছয়টার দিকে উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের পাড়াগাঁও-তন্তর ক্যাচি রোড এলাকায় পিটুনির ঘটনাটি ঘটে। আহত দুজনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. জাফর (৪২)। তিনি কেরানীগঞ্জের আবদুস সাত্তারের ছেলে। আহত দুজন হলেন মো. আরিফ (৪৫) ও মো. জহির (৩৫। তাঁরাও কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে জাফর, জহির ও আরিফসহ সাতজন অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে চালককে পাড়াগাঁও-তন্তরসংলগ্ন ক্যাচি রোডে নিয়ে আসেন। অটোরিকশাটি ছিনতাই করে দলের একজনকে দিয়ে পাঠিয়ে দেয় ওই চক্রটি। পরে ওই চালককে সড়কের পাশে গলা কেটে হত্যার প্রস্তুতি নেন ছিনতাইকারী দলের অন্য সদস্যরা। অটোরিকশাচালক ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে থাকেন। এ সময় ওই পথ দিয়ে এক ব্যক্তি যাচ্ছিলেন। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে চিৎকার শুরু করেন। চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে ছিনতাইকারীরা পালানোর চেষ্টা করেন। তখন সেখান থেকে জাফর, জহির ও আরিফকে আটকে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উপস্থিত জনতা তিনজনকে পিটুনি দেন। বিষয়টি জানতে পেরে শ্রীনগর থানার পুলিশ ওই তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাফিস মোহাম্মদ খান দুপুর ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে আটটার দিকে ওই তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তিনজনের শরীরে, মাথার বিভিন্ন অংশে মারধর ও আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। ঢাকায় নেওয়ার আগেই জাফর মারা যান।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বেলা ১১টার দিকে জাফর নামে ছিনতাইকারী চক্রের এক সদস্য হাসপাতালে মারা গেছেন। অন্য দুজন এখনো চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় অটো ছিনতাইয়ের একটি মামলা এবং ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক আরও একটি মামলা হবে।