পাবনায় চাচার বাড়ি থেকে ট্রাংকে ভরা অবস্থায় শিশুর লাশ উদ্ধার

শিশু হত্যা
প্রতীকী ছবি

পাবনায় নিখোঁজের এক দিন পর চাচার বাড়ি থেকে সালমান হোসেন নামে চার বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলা সদরের সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের আলোকচর গ্রাম থেকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে লাশটি উদ্ধার করা হয়। গত সোমবার সকাল থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল।

পুলিশের ধারণা, মুক্তিপণের জন্য শিশুটিকে হত্যার পর ট্রাংকে ভরে রাখা হয়েছিল। ফোনকলের সূত্র ধরে শিশুটির চাচাতো ভাই ফয়সাল হোসেনকে (২৩) আটকের পর তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী লাশটি উদ্ধার করা হয়।

শিশু সালমান ওই গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় হাসেম আলী বাদী হয়ে আজ বুধবার সকালে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় আটক ফয়সাল, তাঁর বাবা আনোয়ার হোসেন (৫০) ও মা ফাহিমা খাতুনকে (৪৫) গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার ও থানা-পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত সালমান বাড়িতেই ছিল। এর পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুরের দিকে একটি মুঠোফোন থেকে তার বাবা হাশেম আলীকে কল দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে তিনি বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ মুঠোফোন নম্বরটি শনাক্ত করার খোঁজ শুরু করে। একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শিশুটির চাচাতো ভাই ফয়সাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হাশেমের ভাই আনোয়ারের বাড়ি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি চাচাতো ভাই ফয়সালের ঘরে একটি ট্রাংকের মধ্যে রাখা ছিল।

যোগাযোগ করা হলে সালমানের বাবা হাশেম আলী বলেন, ‘মুক্তিপণের জন্যই আমার ওইটুকু ছেলেক ওরা মারছে। ওরা ওই দুধের বাচ্চাকে কীভাবে মারল? আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি জানার পরই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শিশুটির চাচাতো ভাই ফয়সালকে আটক করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফয়সাল প্রাথমিকভাবে হত্যা ও লাশ লুকিয়ে রাখার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা জানিয়েছেন। ঘটনায় শিশুটির বাবার করা মামলায় ফয়সাল ও তাঁর মা-বাবাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।