বিএনপি নেতাকে গুলি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ল তরুণ

গুলিপ্রতীকী ছবি: রয়টার্স

রাজশাহীর বাগমারায় বিএনপির এক নেতাকে গুলি করতে গিয়ে জনতার হাতে এক তরুণ ধরা পড়েছেন। তাঁর নাম লিটন হোসেন (২২)।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তেলিপুকুর গাঙ্গোপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ওই বিএনপি নেতা বাদী হয়ে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন।

অভিযুক্ত লিটন উপজেলার ভবানীগঞ্জের পাহাড়পুর গ্রামের ডি এম ফজলুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মাড়িয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমানকে মুঠোফোনে হুমকি দেন লিটন। পরে তেলিপুকুর গাঙ্গোপাড়া মোড়ে তাঁদের দেখা হয়। এলাকায় ফজলুরের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি দিঘি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন লিটন। একপর্যায়ে কোমর থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র বের করে তাঁর দিকে তাক করেন লিটন। এ সময় ফজলুর তাঁকে জাপটে ধরেন। বাজারের লোকজন অস্ত্রসহ লিটনকে আটক করে র‍্যাবের হাতে তুলে দেয়।

রাতে লিটনকে বাগমারা থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে হত্যাচেষ্টা ও অস্ত্র আইনে বিএনপি নেতার করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের দাবি, তাঁর জমিসহ এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষকের জমি ইজারা নিয়ে দাপট দেখিয়ে দিঘি খনন করা হয়েছে। তবে ইজারার টাকা পরিশোধ করা হয়নি। তাই জমির মালিকেরা মিলে দিঘিটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মাছ চাষ করছেন। ওই দিঘির দখল নিতে তাঁকে গুলি করে হত্যা করতে এসেছিলেন লিটন।

বাগমারা থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাদিকুল ইসলাম থানায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ বুধবার সকালে আসামিকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।