কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে পিটুনি, তরুণ নিহত

কুষ্টিয়ায় গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন এলাকাবাসীসহ নিহতের স্বজনেরাছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় এক বসতবাড়িতে চুরির অভিযোগে পিটুনির শিকার হয়ে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের নতুন সুতাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহাঙ্গীর আলম (২৮) পাশের চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার রাধিকাগঞ্জ ফকিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার মালেক শরীফের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় অন্তত ছয়টি মামলা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের নতুন সুতাইল গ্রামের আমিরুলের ঘরে একটি সংঘবদ্ধ দল চুরি করার সময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে যান। এ সময় চোর চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন পরিবারের লোকজনের চিৎকারে এলাকাবাসী বাড়ি থেকে প্রায় দেড় শ গজ দূরে নতুনপাড়া ডাঙ্গা মাঠের ভেতর থেকে জাহাঙ্গীরকে ধরে ফেলেন। পরে তাঁকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

বাড়ির মালিক আমিরুল ইসলাম জানান, বাড়ির কাজ চলছে। তাই দরজা-জানালা এখনো লাগানো হয়নি। এ সুযোগে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় গতকাল রাতে তিন থেকে চারজন বাড়িতে চুরি করার জন্য ঢুকেছিল। চুরি করে পালানোর সময় টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দেওয়া হয়। বাকিরা পালিয়ে গেলেও এক চোর স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়েন। এ সময় গণপিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হয়। পালিয়ে যাওয়া চোরেরা বাড়ি থেকে অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।

আমবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সজীব আহমেদ বলেন, ঘটনা জানার পর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করে। তারা বিষয়টি তদন্ত করছে।

মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, চুরির অভিযোগে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি পেশাদার চোর। পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। এ ছাড়া নিহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছয়টি চুরির মামলা ছিল। ঘটনাটির অধিকতর তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।