আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৫০ দিন পর ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদের মৃত্যু
বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ স্কুলছাত্র জুনায়েদ ইসলাম ওরফে রাতুল (১৩) দেড় মাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান আজ সোমবার সকাল সাতটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
জুনায়েদ ইসলাম বগুড়ার উপশহর এলাকার পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। জুনায়েদের বাবা জিয়াউর রহমান ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শরীরে পুলিশের ছোড়া চার শতাধিক গুলি নিয়ে দেড় মাসের বেশি সময় হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় ছটফট করেছে রাতুল। বেঁচে থাকার চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে আমার আদরের সন্তানটা। আজ সকাল সাতটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।’
জিয়াউর রহমান বলেন, শুরু থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বন্ধুদের সঙ্গে অংশ নিয়েছে জুনায়েদ। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর জুনায়েদ বন্ধুদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সঙ্গে বিজয় মিছিলে যোগ দেয়। বিকেল চারটার দিকে ছাত্র-জনতার মিছিল শহরের বড়গোলা থেকে সাতমাথা এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করলে সদর থানার সামনে পুলিশ ছাত্র-জনতার মিছিল লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশের ছোড়া শটগানের এলোপাতাড়ি গুলি মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিদ্ধ হয়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
জিয়াউর রহমান বলেন, জুনায়েদের লাশ হাসপাতাল থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে নেওয়া হয়েছে। সেখানে জানাজা শেষে তার লাশ বগুড়া শহরের হাকির মোড় বাসায় নেওয়া হবে। পরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে নামাজগড় আঞ্জুমান গোরস্তানে দাফন করা হবে।