কসবার কুটি ইউপি নির্বাচন
প্রার্থীর প্রতীক ভুল হওয়ায় ভোট শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগে নির্বাচন স্থগিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন আজ রোববার অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান পদের এক প্রার্থীর ব্যালট পেপারে প্রতীক মুদ্রণে ভুল হওয়ায় নির্বাচন শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগে শুধু চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ কুটি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সকাল আটটা থেকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে।
চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ইউসুফ আহম্মেদ নির্বাচন চলাকালে বেলা দেড়টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। নির্বাচনে তাঁকে অটোরিকশা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজ নির্বাচনে ব্যালট পেপারে মুদ্রিত হয়েছে রিকশা প্রতীক। রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই আবেদন নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করেন। বেলা আড়াইটার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কুটি ইউপির শুধু চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যমতে ব্যালট পেপারে ভুল প্রতীক মুদ্রণ হওয়ায় চলমান কসবার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো।
চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ইউসুফ আহম্মেদ বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছি অটোরিকশা। প্রচারণা চালিয়েছি অটোরিকশা। কিন্তু ব্যালট পেপারে মুদ্রিত হয়েছে রিকশা। আমার কর্মী-সমর্থকেরা ভোট দিতে গিয়ে প্রতীক পায়নি। তাদের মাধ্যমে জানতে পেরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
চেয়ারম্যান পদের আনারস প্রতীকের প্রার্থী কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘এটি একটি বড় ভুল। রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে একটি আর ছাপিয়েছে অন্যটি। তাঁদের ভুলের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। নির্বাচনে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ছিলাম।’
চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ফারুক ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার ভুলের দায় আমরা প্রার্থীরা নেব না। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এই দায় নিতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা অনেক শ্রম দিয়েছি। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে ভোটাররা উপস্থিত হয়েছে। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ছিলাম। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করছি যে পরিমাণ ভোট হয়েছে, তা গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে গণনা করতে হবে।’
কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ইউপি নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা অমিত কুমার দাস বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর প্রত্যেক প্রার্থীর নির্ধারিত প্রতীক নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে পাঠানো হয়েছে। ব্যালট পেপার মুদ্রণের সময় প্রতীক ভুল করে ছাপা হয়েছে রিকশা। বিষয়টি আমাদের চোখে পড়েনি। বেলা দেড়টার দিকে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ইউসুফ আহম্মেদ লিখিতভাবে বিষয়টি আমাদের অবহিত করে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করলে বেলা আড়াইটার দিকে নির্বাচন কমিশন শুধু চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্থগিত করেন।’
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহারিয়ার মুক্তার বলেন, চেয়ারম্যান পদের এক প্রার্থীর প্রতীক মুদ্রণে ভুল হওয়ায় শুধু চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।