সিলেটে প্রতিদিন ২৫ লাখ ডিমের ঘাটতি
সিলেট বিভাগে প্রতিদিন ২৯ লাখ ডিমের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে সরবরাহ রয়েছে মাত্র ৪ লাখ ডিম। প্রতিদিন ২৫ লাখ ডিমের ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। এ জন্য বিভাগে বাইরে থেকে অন্তত ২৫ লাখ ডিম এনে চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। সিলেট জেলায় সোনালি জাতের মুরগির চাহিদা রয়েছে দৈনিক প্রায় এক লাখ। কিন্তু স্থানীয়ভাবে সরবরাহ হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার।
আজ শনিবার দিনব্যাপী সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের বিভাগীয় কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, হাঁসের ডিমের পুষ্টিগুণ মুরগির ডিমের বেশি। দেশের ৪৫ ভাগ মানুষ প্রাণিজ প্রোটিনের ওপর নির্ভরশীল। প্রাণিজ প্রোটিনের অন্যতম উৎস হলো পোলট্রিশিল্প। অথচ সিলেট অঞ্চলে লেয়ার খামার ও পোলট্রি হ্যাচারি নেই বললেই চলে।
সিলেট কৃষি বিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি, অ্যানিমেল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন মো. ছিদ্দিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা। অধ্যাপক নাসরিন সুলতানার সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মো. বাহানুর রহমান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় চিফ এপিডেমিওলজিস্ট আছির উদ্দিন ও ওয়াস্টার পোলট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্য মো. ইলিয়াস হোসেন। আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক এ টি এম মাহবুব-ই-ইলাহী, এম রাশেদ হাসনাত প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সিলেটে হাওরাঞ্চলে হাঁস পালনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে ব্যক্তিপর্যায়ে কাজে লাগানো যায়। সিলেট অঞ্চলে কর্মক্ষম যুবসমাজকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি গ্রামীণ নারীদের পোলট্রিশিল্পে নিয়োজিত করতে পারলে এ অঞ্চলে মাংস ও ডিমের চাহিদা পূর্ণ করা সম্ভব হবে। কৃষির মতো পোলট্রিশিল্পেও কমার্শিয়াল বিদ্যুৎ বিলের পরিবর্তে আবাসিক বিল প্রদানের আহ্বান জানান তাঁরা। একই সঙ্গে উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণের সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।