গাড়িচাপায় বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু: তিন আসামি রিমান্ড শেষে কারাগারে

পূর্বাচলে প্রাইভেট কারচাপায় বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তিন আসামিকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। বুধবার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে প্রাইভেট কারচাপায় বুয়েটের শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ (২২) নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে দুই দিন করে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর মহসীনের আদালত এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান প্রথম আলোকে বলেন, তিন আসামিকে দুই দিন করে রিমান্ড শেষে আজ বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে আদালত তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের মামলার তদন্তের স্বার্থে কারাগারে আটক রাখার জন্য আবেদন জানালে শুনানি শেষে আদালত তাঁদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এর আগে গত রোববার সড়ক নিরাপত্তা আইনের মামলায় রূপগঞ্জ থানা-পুলিশ তিন আসামি মুবিন আল মামুন, মিরাজুল করিম ও আসিফ চৌধুরীর পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে শুনানি শেষে তাঁদের প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত তিনটার দিকে পূর্বাচল ৩০০ ফিটের নীলা মার্কেট (কুড়িল-কাঞ্চন সড়ক) এলাকায় পুলিশের একটি তল্লাশিচৌকিতে একটি প্রাইভেট কার সজোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় তল্লাশিচৌকিতে দাঁড়ানো মোটরসাইকেল আরোহী বুয়েটের তিন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলেই মারা যান বুয়েটের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মুহতাসিম মাসুদ। আহত হন মুহতাসিমের দুই সহপাঠী মেহেদী হাসান খান (২২) ও অমিত সাহা (২২)। মেহেদী হাসান রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এবং অমিত সাহা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থল থেকেই প্রাইভেট কারের চালক মুবিন আল মামুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার পুলিশ। এই ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মুহতাসিমের বাবা মাসুদ মিয়া বাদী হয়ে সড়ক নিরাপত্তা আইনে এবং পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ডোপ টেস্টে গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে প্রাইভেট কারের চালক মুবিন আল মামুনের শরীরে গাঁজা ও অ্যালকোহল এবং মিরাজুল করিমের শরীরে অ্যালকোহল পাওয়া যায়। অপর আসামি আসিফ চৌধুরীর শরীরে অ্যালকোহল–জাতীয় কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।