শার্শায় যুবলীগের হামলায় বিএনপির ১০ নেতা–কর্মী আহত, অবস্থান কর্মসূচি পণ্ড
যশোরের শার্শা উপজেলায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে যুবলীগের নেতা–কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় বিএনপির জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেলে শার্শা উপজেলা পরিষদসংলগ্ন কামারবাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান। তাঁরা প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।
বিএনপি ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলে শার্শা উপজেলা বিএনপি অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচি শুরুর আগেই বেলা তিনটার দিকে যুবলীগের স্থানীয় নেতা–কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সৈয়দ সাবেরুল হক, মফিকুল হাসান ও আবুল হাসানসহ বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, ‘আওয়ামী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা করে কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছে। কুড়ালের হাতল দিয়ে আমাকে তারা পিটিয়েছে। তাদের একটাই কথা, “শার্শায় বিএনপির কোনো কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না।” এটা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কোনো রাজনৈতিক দলের আচরণ হতে পারে না।’
বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহেদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দলের কোনো নেতা–কর্মী এ হামলার সঙ্গে জড়িত নন। নিজেদের দলীয় কোন্দলে তারাই হামলার শিকার হয়েছেন।’
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।
আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনব: অনিন্দ্য ইসলাম
আজ দুপুরে যশোর সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ১০ দফা দাবিতে পুলেরহাট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচিতে হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন।
কর্মসূচিতে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম।
এ সময় অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ নয়, মানুষের অধিকারের রাজনীতি করতে এসেছি। আমরা হিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে ভালোবাসার চর্চা করতে চাই। সংকীর্ণতার রাজনীতির বিরুদ্ধে উদারতার রাজনীতি করতে চাই। আমরা আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যাব। তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনব। এরপর জনগণ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তার পছন্দের দলকে বেছে নেবে।’
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি প্রমুখ।