শ্রেণিকক্ষে যৌন হয়রানি, ইউএনও কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করল শিক্ষার্থীরা
দিনাজপুরের বিরামপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মাধ্যমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি নুজহাত তাসনীমের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের শাস্তির দাবি করেছে তারা।
অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা প্রশাসন। কমিটির সদস্যরা হলেন—উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাওসার হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শমসের আলী মণ্ডল ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা লুৎফর রহমান। তদন্ত করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা জানান, ওই দুই শিক্ষক পাঠদানের সময় প্রায়ই ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। তাঁরা বিষয়ভিত্তিক পাঠদান বাদ দিয়ে অশালীন ও আপত্তিকর বিষয়ে কথাবার্তা বলেন। শুধু তা-ই নয়, ওই দুই শিক্ষক কৌশলে শিক্ষার্থী স্পর্শকাতর স্থানেও হাত দেন।
এদিকে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৭ মে বেলা ১১টার সময় অভিযুক্ত এক শিক্ষক দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে লাইব্রেরি কক্ষে ডেকে নিয়ে ল্যাবের কম্পিউটারে আপত্তিকর ভিডিও দেখান। অবাঞ্ছিতভাবে ওই ছাত্রীকে স্পর্শ করার চেষ্টাও করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ওই ছাত্রী ল্যাব থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বের হয়ে আসে।
তবে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়া অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যদি কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়; তাহলে বিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য ওই শিক্ষকদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
ছাত্রছাত্রীর দেওয়া লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্য ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শমসের আলী মণ্ডল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে সুষ্ঠু তদন্তের পর এ বিষয়ে শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।