আপিলেও প্রার্থীতা ফিরে পাননি খুলনা সিটি নির্বাচনের তিন মেয়র প্রার্থী
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়ার পর আপিলেও বাদ পড়েছে স্বতন্ত্র তিন মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। আর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে জাকের পার্টির প্রার্থীর। আজ মঙ্গলবার তাঁদের আপিল আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
বাদ পড়া ওই তিন মেয়র প্রার্থী হলেন মো. আবদুল্লাহ চৌধুরী, এস এম শফিকুর রহমান ও সৈয়দ কামরুল ইসলাম। আর প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন। ১৮ মে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় বিভিন্ন কারণে তাঁদের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আপিল করেছিলেন যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়া প্রার্থীরা। ওই কমিটির সদস্য খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, দুই দিন ধরে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ছিল মেয়র ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের শুনানির দিন। দুই দিনে মেয়র পদে এক প্রার্থীসহ সাতজনের আপিল মঞ্জুর হয়েছে। আর আটজনের আপিল নামঞ্জুর করা হয়েছে। আপিলে যাঁদের মনোনয়ন নামঞ্জুর হয়েছে, তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর মধ্যে ছিলেন ৪ মেয়র প্রার্থীসহ সাধারণ ওয়ার্ডের ১২, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ২ কাউন্সিলর প্রার্থী। তবে বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে আপিল কমিটির কাছে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেন ১৬ জন। শুধু সাধারণ ওয়ার্ডের দুই প্রার্থী আবেদন করেননি।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সাতজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে বিভিন্ন ভুল ও তথ্যে গরমিল থাকায় চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। ৩১টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য ১৪৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ ছাড়া সংরক্ষিত ১০টি আসনের জন্য জমা দেওয়া ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল।