কুমিল্লায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে অটোরিকশাচালক গ্রেপ্তার

ধর্ষণপ্রতীকী ছবি

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় সাত বছরের এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত শিশুটি এখন কুমিল্লার একটি হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীন (৪৯) নামের এক অটোরিকশাচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার একটি গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আজ শনিবার ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করলে ওই অটোরিকশাচালককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক আজ সন্ধ্যায় বলেন, গতকাল গভীর রাতে অভিযুক্ত জয়নালকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় আজ তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিশুটির মা। কাল রোববার সকালে জয়নালকে আদালতে পাঠানো হবে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটি বাড়ির পাশে একটি পুকুরে মাছ ধরা দেখতে যায়। বাড়ি ফেরার সময় সন্ধ্যার আগমুহূর্তে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন জয়নাল। পরে শিশুটি বাড়িতে ফিরে মায়ের কাছে সবকিছু খুলে বলে। ঘটনাটি শুনে সঙ্গে সঙ্গেই তার মা শিশুটিকে পাশের নাথেরপেটুয়া এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্মরত চিকিৎসক শিশুটিকে আরেকটি হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে দ্রুত কুমিল্লার একটি হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ গতকাল রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে।

ভুক্তভোগী শিশুটির মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা নতুন ঘর নির্মাণের কাজ করছিলাম। এরই ফাঁকে মেয়েটি পাশের একটি পুকুর পাড়ে মাছ ধরা দেখতে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে জয়নাল। ঘটনার পর থেকেই মেয়ের রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ছোট্ট মেয়েটির অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। আমি ওই ব্যক্তির বিচার চাই।’