নওগাঁর তুলসীগঙ্গা নদীর কচুরিপানা অপসারণ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা

তুলসীগঙ্গা নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। শনিবার বেলা ১১টায় নওগাঁ শহরের রজাকপুর এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

নওগাঁর তুলসীগঙ্গা নদীর কচুরিপানা অপসারণ শুরু করেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। আজ শনিবার সকাল ১০টায় নওগাঁ শহরের রজাকপুর এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়াল।

জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে সারা দেশের প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি জলাশয় কিংবা খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার সরকারি ঘোষণার অংশ হিসেবে নওগাঁয় তিনটি স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন এই উদ্যোগ নিয়েছে।

নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে রাণীনগর উপজেলার চক-কতুব পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার নদীর যেসব স্থানে কচুরিপানা জমে আছে, সেসব স্থান থেকে পর্যায়ক্রমে কচুরিপানা অপসারণ করবেন তিনটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। ওই তিনটি সংগঠন হলো বিডি ক্লিন নওগাঁ জেলা শাখা, ওয়াইএসএফ ও স্কাউট নওগাঁ শাখা। এই কার্যক্রমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, নওগাঁ পৌরসভা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জেলা কার্যালয় থেকে স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম রবীন শিষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাবেদ ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তুলসীগঙ্গা নদী দিনাজপুর জেলা থেকে উৎপত্তি হয়েছে। নদীটি জয়পুরহাট জেলা হয়ে নওগাঁ শহরের ভেতর দিয়ে রাণীনগর উপজেলার চক-কতুব স্থানে ছোট যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। বছর দুয়েক আগে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে নদীটি পুনঃখনন করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে নদীটির বেশির ভাগ অংশে কচুরিপানা জমে পানিপ্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মৃতপ্রায় নদীটিতে প্রাণ ফেরাতে প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমেছেন।

বিডি ক্লিন নওগাঁ শাখার উপদেষ্টা অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি জলাশয় পরিষ্কার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বিডি ক্লিন নওগাঁর কর্মীরা সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজ থেকে তুলসীগঙ্গা নদীর কচুরিপানা অপসারণ করতে শুরু করেছেন। এই কার্যক্রমে ওয়াইএসএফ ও স্কাউটের সদস্যরা হাত মিলিয়েছেন। সবার সহযোগিতায় তুলসীগঙ্গা নদী আবারও প্রাণ ফিরে পাবে। নভেম্বর মাসজুড়ে এই কার্যক্রম চলবে।