ভৈরবে বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী নৌকাডুবিতে নারীর মৃত্যু, নিখোঁজ ৬
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় পুলিশের এক সদস্যের পরিবারসহ ছয়জন নিখোঁজ ও একজনের লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ভৈরবে মেঘনা নদীর পাশাপাশি থাকা তিনটি সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, দর্শনার্থী যাত্রীদের অনুরোধে নৌকার মাঝি বইঠা ছেড়ে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। তখন বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাটি উল্টে যায়।
নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া লাশটি অজ্ঞাতনামা এক নারীর। বয়স ২৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে পারে। তাঁর লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল মো. সোহেল ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরা আছেন। এ ছাড়া ভৈরবের শিমুলকান্দি ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (২২) নামের এক তরুণকে উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেঘনা নদীর ভৈরব এলাকায় পাশাপাশি দুটি রেল ও একটি সড়ক সেতু আছে। তিনটি সেতু ঘিরে ভৈরব প্রান্তে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে মেঘনা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করেন। আজ বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে একটি নৌকায় ১২ থেকে ১৫ জন দর্শনার্থী যাত্রা করেন। মাঝনদীতে যাওয়ার পর কয়েকজন যাত্রী ছবি তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তখন তিনি বইঠা ছেড়ে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এ সময় নৌকাটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড নৌকাটি ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে লাশ উদ্ধার হওয়া নারীর কোনো স্বজনকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশরাফ মাহাদী জানান, ইফতারের কিছুক্ষণ পর মৃত অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে আনা হয়।
ভৈরব নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ ছয়জনের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল মেঘনা নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে।