কলেজশিক্ষককে গলা কেটে আহত অবস্থায় ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে শফিকুল ইসলাম ওরফে বাদল নামের এক কলেজশিক্ষককে গলা কেটে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার জামতৈল কলেজপাড়া এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির কাছের একটি পুকুরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলার শিকার শফিকুল ইসলাম উপজেলার চৌবাড়ী ড. ছালাম জাহানারা ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি চরকামারখন্দ এলাকার মৃত মনতাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি জামতৈল কলেজপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকেন।
আহত শিক্ষকের গলার সামনের অংশে এমনভাবে কাটা হয়েছে, এতে শ্বাসনালির আংশিক কেটেছে।
পুলিশ ও আহত শিক্ষকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ ভোররাতে সাহ্রি খাওয়ার পর ফজরের নামাজ পড়ে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে যান। ওই সময় শফিকুল ইসলাম বাড়ির পাশের পুকুরে ময়লা ফেলতে যান। তখন দুর্বৃত্তরা তাঁকে ধারালো চাপাতি দিয়ে গলা কেটে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরে তাঁর স্বজনেরা তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় খোকন মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চৌবাড়ী ড. ছালাম জাহানারা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জুনায়েদ হোসেন বলেন, আহত শিক্ষক শফিকুল ইসলাম অনেক দিন ধরেই মানসিকভাবে খুবই অসুস্থ ছিলেন। তিনি ঠিকমতো কোনো ক্লাস নিতে পারতেন না। তবে তিনি খুব সাদা ও সরল মনের মানুষ। তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা থাকার কথা নয়।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তাক্ত ধারালো চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। আহত শিক্ষকের গলার সামনের অংশে এমনভাবে কাটা হয়েছে, এতে শ্বাসনালির আংশিক কেটেছে। কী কারণে এই হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।