বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন
সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মামলা করার পরামর্শ মানবাধিকার কমিশনের পরিচালকের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় মামলা করার ক্ষেত্রে মনগড়া আসামি না দিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত ইলিম হোসেনের বাড়ি পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আশরাফুল আলম বলেন, যেনতেনভাবে মামলা করলে চলবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই মামলা করতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যাঁরা মারা গেছেন, যাঁরা আহত হয়েছেন, প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের সম্পৃক্ত করেই মামলা করতে হবে। অযথা মনগড়া আসামি দিয়ে, সাংবাদিকদের আসামি করে মামলা করলে সেই মামলায় ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব নয়। কাজেই সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই মামলা করতে হবে। যাঁরা ভিকটিম, তাঁরা যাতে ন্যায়বিচার পান এবং যাঁরা অপরাধী, তাঁরা যেন শাস্তির আওতায় আসেন।
মানবাধিকার কমিশনের এই পরিচালক বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকেও কমিটি করা হয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আমরাও সুনির্দিষ্ট তথ্য উপস্থাপন করতে পারব।’
এর আগে ইলিম হোসেনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন আশরাফুল আলম। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা ও ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে তদন্ত কমিটির সদস্য ও মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক গাজী সালাউদ্দিন, উপপরিচালক এম রবিউল ইসলাম, উপপরিচালক সুস্মিতা পাইক ও কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান, গাজীপুর জজ আদালতের আইনজীবী আসাদুল্লাহ বাদল ও আইনজীবী রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া থানা–পুলিশ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংগঠিত বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনা ও বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে ‘বাংলাদেশের কোটাব্যবস্থা, সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলন, সহিংসতা ও নাশকতা: কমিশনের পর্যবেক্ষণ’ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নিমিত্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলমকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় গত ২১ জুলাই। ওই কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও এখনো তাঁরা তদন্ত শেষ করতে পারেনি।
তদন্তের বিষয়ে আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আন্দোলন বেগবান হওয়ায় তদন্তের কাজ থেমে ছিল। এখন আমরা পুরোদমে তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।