দুই দিন বিরতির পর আবারও নদীতে ঘন কুয়াশা, কয়েক ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
দুই দিন বিরতির পর ঘন কুয়াশার কারণে আবারও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে ফেরি, লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল কয়েক ঘণ্টা ব্যাহত হয়েছে। পরে আজ সকাল ৯ টা থেকে আরিচা-কাজিরহাট ও ৯টা ১৫ থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরিসহ নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে আজ সোমবার ভোর পাঁচটা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং গতকাল রোববার রাত দুইটা থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে দুর্ভোগে পড়েন পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
যানবাহন পারাপার ব্যাহত হওয়ায় সব ঘাটে যাত্রীবাহী পরিবহনসহ পণ্যবাহী যান অপেক্ষায় আটকে যায়। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয় সূত্র জানায়, কুয়াশার কারণে গত শুক্রবার পর্যন্ত টানা চার দিন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি, লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল ব্যাহত হয়।
দুই দিন বিরতির পর গতকাল মধ্যরাত থেকে নদী অববাহিকায় আবার কুয়াশা পড়তে থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকায় একপর্যায়ে আজ ভোর থেকে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুর্ঘটনা এড়াতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ভোর ৫টা ২০ মিনিটে পাটুরিয়া থেকে এবং ৫টা ৩০ মিনিটে দৌলতদিয়া থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়।
অপর দিকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রাত ২টা থেকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় আরিচা প্রান্তে রো রো ফেরি শাহ আলী, কে–টাইপ ফেরি ধানসিঁড়ি, রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এবং কাজিরহাট প্রান্তে কে–টাইপ ফেরি চিত্রা নোঙর করে আছে। এর আগে আরিচা ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া কে–টাইপ ফেরি কিষানি এবং রো রো ফেরি খান জাহান আলী মাঝনদীতে ঘন কুয়াশা পড়ায় আটকে যায়।
গুরুত্বপূর্ণ দুই নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকামুখী যাত্রীবাহী বাসসহ পণ্যবাহী কিছু পরিবহন এবং দক্ষিণাঞ্চলমুখী কয়েকটি যানবাহন পাটুরিয়া প্রান্তে নদী পাড়ি দিতে অপেক্ষা করছে। একইভাবে আরিচা ও কাজিরহাট প্রান্তেও যানবাহন নদী পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় আছে।
দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন খান বলেন, বারবার কুয়াশায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় নদী পাড়ি দিতে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও নারী যাত্রীরা প্রকৃতির কাজ সারতে মাঝেমধ্যে ফেরিঘাট এলাকার বাড়িঘরে ছুটছেন। এ ছাড়া তাঁদের চুরি-ছিনতাইয়ের ভয়েও থাকতে হয়।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, ঘন কুয়াশার মধ্যে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিয়ে ফেরিগুলো ছাড়া হবে না। এ জন্য সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকায় যানবাহন পারাপার ব্যাহত হওয়ায় যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।