চাঁপাইনবাবগঞ্জে আনন্দঘন পরিবেশে আঞ্চলিক স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত
সকাল থেকে কালো মেঘে ঢাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জের আকাশ। সাড়ে আটটার দিক থেকে নামে ঝুমবৃষ্টি। ঘণ্টাখানেক পরে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। দুপুরের পর মিষ্টি রোদে ঝলমল করে ওঠে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠ। ছুটির দিনে সেখানে আঞ্চলিক স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডের বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী।
যক্ষ্মার বিস্তার রোধ ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াড। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়ন এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) পরিচালনায় প্রথম আলো এই স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডের আয়োজন করছে। এতে সহযোগিতা করছে প্রথম আলো বন্ধুসভা।
শুক্রবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মোজাহারুল ইসলাম। এরপর কলেজের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আধা ঘণ্টার পরীক্ষা শেষে কলেজ মিলনায়তনে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। সেখানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হার্ট ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মারুফা রহমান, শংকরবাটী পোল্লাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা খাতুন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার সভাপতি আরাফাত মিলেনিয়াম।
চিকিৎসক ওমর ফারুক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা এখানে যক্ষ্মা নিয়ে নানা কিছু শিখে গেলে। এগুলো বাবা-মা, পরিবারের অন্যান্য সদস্য, প্রতিবেশী বন্ধু ও সহপাঠীদের কাছে বলিও। তবেই এ আয়োজন সুন্দরভাবে সার্থক হবে।’
বক্তব্যের ফাঁকে বাবুডাইং আলোর পাঠশালা, হরিমোহন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, এমএম হক বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, গ্রিনভিউ কালেক্টরেট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নাচ-গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যক্ষ্মা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আইসিডিডিআরবির প্রতিনিধি জাকির হোসেন।
অলিম্পিয়াডে পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে প্রাইমারি, জুনিয়র, সেকেন্ডারি—এ তিন ক্যাটাগরিতে ৩০ জন বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়। বিজয়ীদের সনদ, মেডেল ও টি-শার্ট তুলে দেন অতিথিরা। বিজয়ী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় জাতীয় স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে।