সাড়ে আট বছর পর গতকাল শুক্রবার রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। দলের নেতা-কর্মীদের বিভক্তির কারণে চারবার এই সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়।
রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তিনি তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
তানোরের গোল্লাপাড়া বাজার মাঠে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ। সভাপতিত্ব করেন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী।
পরে কামাল হোসেন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি চারজন করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। সভাপতি প্রার্থীদের মধ্যে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর নামও ঘোষণা করা হয়।
দলের নেতা-কর্মীরা বলেন, দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি খায়রুজ্জামান নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় কামাল হোসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে ওমর ফারুক চৌধুরীকে একটু কথা বলার প্রস্তাব দেন। তখন ওমর ফারুক বলেন, এখন তিনি জেলার দায়িত্বে নেই।
এ সময় তানোরের দায়িত্ব নিয়ে রাজনীতিতে একটু পরিপক্বতা নিয়ে আসবেন বলে এ পদে দাঁড়াতে চেয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, এটা তাঁর সমুচিত কাজ হবে না। তাঁরা তাঁকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বলেন। তিনিও বিষয়টি ভেবে দেখেছেন। তাই তিনি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর সম্মেলনে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি হয়েছিল। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
এই দীর্ঘ সময়ে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ওমর ফারুক চৌধুরী ও কমিটির নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ে।