হঠাৎ কমে যায় প্লাটিলেট, এরপর নিস্তেজ

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া শিশু আবদুল্লাহ রাজিউনছবি: সংগৃহীত

বান্দরবান সদর হাসপাতালে আজ রোববার সকালে ডেঙ্গু আক্রান্ত আট বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাকে গতকাল শনিবার ভর্তি করা হয়েছিল। আজও হাসপাতালে ১১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি মাসের শুরু থেকে বান্দরবানে হঠাৎ করে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে চিকিৎসকেরা আশঙ্কা করছেন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া শিশুর নাম আবদুল্লাহ রাজিউন। সে আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিসংখ্যানবিদ মিজানুর রহমানের ছেলে।

গতকাল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আজ হঠাৎ করে শিশুটির প্লাটিলেট কমে যায়। তাঁর অবস্থা দ্রুত অবনতি হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম।

আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিসংখ্যানবিদ মিজানুর রহমান বলেন, তাঁর ছেলে আবদুল্লাহ রাজিউনের তিন দিন ধরে জ্বর ছিল। রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকালও তার রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ দেড় লাখ ছিল। কিন্তু আজ সকালে দ্রুত প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গিয়ে ২২ হাজারে নেমে আসে। বিষয়টি চরম মুহূর্তে চিকিৎসকদের নজরে আসে এবং ছেলেটি মারা যায়।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা এস এম আসাদুল্লাহ বলেন, চলতি মাসের (জুলাই) শুরু থেকে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। মে মাসে ২৫ ও জুনে ২৮ জন রোগী ছিলেন। এখন বর্তমানে ১১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের বান্দরবান জেলা পরিসংখ্যানবিদ আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় ৭৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জেলার তথ্য এখনো আসেনি। তবে আজ সকালে মারা যাওয়া এক শিশু বাদে চিকিৎসাধীন আটজন রোগী ছিলেন। দুপুরে আরও তিনজন ভর্তি হওয়ায় এখন ১১ জন হয়েছেন।

সিভিল সার্জন (সিএস) মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, চলতি মাসের শুরু থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বাড়ছে, বর্ষা মৌসুম হওয়ায় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধপত্র থাকায় কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এক শিশু হঠাৎ মারা গেছে, এর আগে কোনো ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়নি।