স্বজনদের নিয়ে বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনা, নারী–শিশুসহ নিহত ৩

সড়ক দুর্ঘটনাপ্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ডাম্পট্রাক, যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নারী, শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। আজ বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বারগুড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার বাসিন্দা পাভেল মিয়া, ফজিলাতুন্নেছা ও হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার রামপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ১১ মাস বয়সী শিশুকন্যা রাইছা। ফজিলাতুন্নেছা ও রাইছা সম্পর্কে খালা-ভাগনি। পাভেল মিয়া মাইক্রোবাসের চালক ও বাকিরা এর যাত্রী ছিলেন।

পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবে ওমরা হজ পালন শেষে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ফজিলাতুন্নেছা। তাঁকে সেখান থেকে আনতে যান স্বজনেরা। ওই মাইক্রোবাসে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওই এলাকায় ঢাকা অভিমুখী বালুবাহী ডাম্পট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। একই সময় মাইক্রোবাসের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয় একটি পণ্যবাহী পিকআপ ভ্যান। এতে যানবাহন তিনটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে শিশু রাইছার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার সময় মা রুনা আক্তারের কোলে ছিল শিশুটি। এ ঘটনায় তিনিসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পথে পাভেল ও ফজিলাতুন্নেছার মৃত্যু হয়।

ওই দুর্ঘটনার পরপর মহাসড়কটিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে বলে জানান সরাইল খাঁটি হাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারগুব তৌহিদ। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন তিনটি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় সড়ক আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।