গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রের বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ ও হামলা, আহত ৩
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাসুদুল হাসানের (বিল্লাল) বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ৩৯নং ওয়ার্ডের সুকন্দিরবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দারা জয়দেবপুর-বনমালা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
গাজীপুর-২ (গাজীপুর সিটি ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিনের পক্ষে কাজ করেন সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাসুদুল হাসান। কিন্তু কাজী আলিম উদ্দিন হেরে যান। ২২ হাজারের বেশি ভোটে বিজয়ী হন নৌকার প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান (রাসেল)। ১ লাখ ৪ হাজার ৪৭৭ ভোট পেয়েছেন তিনি। আলিম উদ্দিন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৮৪ হাজার ১২৯ ভোট। তাঁর হয়ে জোর প্রচারণায় নেমেছিলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর অনুসারী লোকজন।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা, মাসুদুল হাসানের বাড়ির লোকজনের বরাতে জানা যায়, জাহিদ আহসানের কর্মী মো. কাউসারের নেতৃত্বে আজ বিকেলে ৪০০-৫০০ লোকের একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়। ওই মিছিল থেকে কাউসারের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক মাসুদুল হাসানের বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ ও হামলা চালানো হয়। এতে বাড়ির বারান্দায় রাখা জিনিসপত্রে আগুন ধরে যায়। হামলাকারীরা মাসুদুলের ছেলে মাহবুব হাসানকে মারধর করে। এ সময় মাহবুবের ছোট ভাই কামাল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী পলি আক্তার এগিয়ে এলে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে আশপাশের শতাধিক মানুষ এগিয়ে এলে হামলাকারীরা চলে যায়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে প্যানেল মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদুল হাসানের লোকজন বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বনমালা সড়কে অবস্থান নিয়ে কিছু সময়ের জন্য অবরোধ করা হয়।
মাসুদুল হাসান বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিনের নির্বাচন করেছেন তিনি, যার কারণে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ ও মামলা করেছেন।
হামলার বিষয়ে জাহিদ আহসানের কর্মী কাউসারের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি। পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, মাসুদুলের বাড়ির পাশ দিয়ে একটি মিছিল যাচ্ছিল। মিছিলের সময় কেউ পটকা ফাটিয়েছে। ওই সময় একজন নাকি ওই বাড়িতে একটি পটকা ছুড়ে মেরেছেন। এ ছাড়া ওই কাউন্সিলরের ছেলেকে নাকি কয়েকটা চড়থাপ্পড় দিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।