আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা, এরশাদ আহ্বায়ক নাজিমুর সদস্যসচিব

বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির নতুন আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমানছবি সংগৃহীত

এরশাদ উল্লাহকে আহ্বায়ক ও নাজিমুর রহমানকে সদস্যসচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দুই সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক চিঠিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরশাদ উল্লাহ নগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সদস্য ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বর্তমান কমিটির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, দলের ত্যাগী ও যোগ্যদের মূল্যায়ন করে কমিটি গঠন করা হবে, যাতে সামনের দিনের আন্দোলন সফল হয়।

গত ১২ জুন সরকার পতনের আন্দোলন ও কমিটি পুনর্গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এর আগে ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর শাহাদাত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেমকে সদস্যসচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৩৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেটি করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ নিয়ে কেন্দ্র নাখোশ ছিল।

২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এক বৈঠকে ভার্চুয়াল যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান নগরের আওতাধীন ১৫টি থানা ও ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে সাংগঠনিক কমিটিগুলো গঠনের নির্দেশনা দেন তিনি।

এরপর একই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি নগরের আহ্বায়ক, সদস্যসচিব ও ১৩ জন যুগ্ম আহ্বায়কের সমন্বয়ে পৃথক ১৫টি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের লক্ষ্যে প্রতিটি থানায় ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ধারাবাহিক কর্মী সমাবেশ শুরুও হয়। হালিশহর ও পাহাড়তলী ছাড়া বাকি ১৩ থানায় সমাবেশও করা হয়। এ দুই থানায় কর্মী সমাবেশ শেষে একযোগে ১৫ থানায় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করার কথা ছিল।

এ অবস্থায় অক্টোবর মাসে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা আসে, থানা কমিটির আগে ইউনিট ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইউনিট কমিটি গঠনের আগে সদস্য সংগ্রহেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে জন্য একটি তথ্য সংগ্রহ ফরমও পাঠায় কেন্দ্র। এর পরিপ্রেক্ষিতে অক্টোবর মাসে থানা কমিটি গঠন স্থগিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে নগর বিএনপি। প্রায় সব ওয়ার্ড প্রস্তুতও হয়। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো ও মুক্তির দাবিতে নানা কর্মসূচি থাকায় ঘোষিত হয়নি ওয়ার্ড কমিটি।