সিলেটে পর্যটক হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে পর্যটক আলে ইমরান হত্যার দায়ে তাঁর স্ত্রীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন কিশোরগঞ্জের নিকলীর ছেত্রাগুরই গ্রামের বাসিন্দা নিহত আলে ইমরানের স্ত্রী খুশনাহার, তাঁর দুই সহযোগী ঢাকার মো. মাহমুদুল হাসান মাহিন ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গাজিরটেক গ্রামের নাদিম আহমদ নাঈম।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা আলে ইমরান চাকরি সূত্রে ঢাকায় বসবাস করতেন। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী খুশনাহারও থাকতেন। ঢাকায় অবস্থানকালে খুশনাহার বিভিন্নজনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলতেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল আলে ইমরান ও তাঁর স্ত্রী খুশনাহার কিশোরগঞ্জে যান। সেখান থেকে ১৫ এপ্রিল সিলেটের মাজার জিয়ারত ও ঘুরতে যাওয়ার জন্য রওনা হন তাঁরা। ১৭ এপ্রিল জাফলংয়ের একটি রিসোর্টের সীমানাপ্রাচীরের পাশে আলে ইমরানের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর পর থেকে খুশনাহার পলাতক ছিলেন।
এ ঘটনার পরদিন নিহত আলে ইমরানের বাবা মো. আবদুল জব্বার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে খুশনাহার, তাঁর সহযোগী মো. মাহমুদুল হাসান, নাদিম আহামদ ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. জালাল উদ্দিন বলেন, হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর এক আসামির বয়স বিবেচনায় শিশু আদালতে বিচারকার্য চলছে।